বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন বলেছেন, আওয়ামী লীগ কেন মাঠে থাকবে? তারা কি পুলিশ? তাহলে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। কারণ জনগণকে আওয়ামী লীগের পাহারা দিতে হবে না। আওয়ামী লীগকে পাহারা দেওয়ার জন্য পুলিশের দরকার হবে। আওয়ামী লীগ এখন পালানোর পথ খুঁজছে।

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কাজীর দেউরী সমাদর কমিউনিটি সেন্টারে দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আলোচনা সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান। তিনি বলেন, বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় রাষ্ট্রের জন্য লড়াই করছে। এই লড়াইয়ের সামনে যে বাঁধা থাকবে তা ভেঙে চুরমার করে দিতে হবে। শহীদ জিয়া বিপ্লবের স্লোগান দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতেন। আমাদেরও এক দফার লড়াইয়ে জিততে হবে। সামনের যে লম্বা রাস্তা আমাদের তা পার হতে হবে।  

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মূল লক্ষ্য হল জাতীয় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে মানুষের অন্ন, বস্ত্র ও বাসস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা। জাতীয় রাষ্ট্র যদি তৈরি করতে না পারি, তাহলে আমাদের যে লড়াই, সেটি শেষ হবে না। জাতীয় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ ব্যর্থ হয়েছে। আওয়ামী লীগ বিভিন্ন দফা দিয়ে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু জাতীয় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তারা এতটুকু অগ্রসর হয় নেই। আসুন আমরা যে কাজ পরিপূর্ণ করতে পারিনি, সেটি পূরণে আন্দোলন গড়ে তুলি। আমাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করে, দেশের প্রয়োজনে অগ্রসর হই।

সভাপতির বক্তব্যে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, প্রতিষ্ঠার ৪৫ বছর পরেও বিএনপি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করছে। শহীদ জিয়া দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আওয়ামী লীগ বারবার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের পতন আন্দোলনে শেখ হাসিনা বারবার বিলম্বিত করেছিলেন। সে সময় বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে এরশাদের পতন হয়েছিল। ৮৬ সালে চট্টগ্রামের লালদীঘির ময়দান থেকে আব্দুল্লাহ আল নোমান বেগম খালেদা জিয়াকে আপসহীন দেশনেত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন। শহীদ জিয়া উৎপাদনমুখী রাজনীতির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বিএনপির সাংগঠনিক শক্তির ওপর দাঁড়িয়ে আমরা বর্তমান সরকারের পতন ঘটাব। 

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, চবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নসরুল কদির, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি ও জেলা ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. তমিজ উদ্দিন আহমেদ মানিক।

এমআর/এসকেডি