গোপালগঞ্জ-১ : নৌকার হাল ধরতে চান খন্দকার মঞ্জুরুল হক লাভলু
খন্দকার মঞ্জুরুল হক লাভলু
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-১ (২১৫) মুকসুদপুর-কাশিয়ানী আসনে নৌকার হাল ধরতে চান গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সাবেক ভিপি এবং বর্তমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাতীয় কমিটির সদস্য খন্দকার মঞ্জুরুল হক লাভলু। তার পৈতৃক এলাকা মুকসুদপুর।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশা করে তিনি জানান, নির্বাচনের জন্য মুকসুদপুর-কাশিয়ানী এলাকাকে উপযুক্ত জায়গা মনে করেন তিনি। এখানে একসময় সংসদ সদস্য ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মরহুম কাজী আব্দুর রশিদ। এরপর এখান থেকে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার পক্ষের আর কেউ মনোনয়ন পাননি।
বিজ্ঞাপন
খন্দকার মঞ্জুরুল হক লাভলুর দাবি, তিনি যখন গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন, তখন তিনি গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করে জিয়া-এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। ওয়ান ইলেভেনের সময় সভানেত্রীর মুক্তির জন্য আন্দোলন করেছেন। সে কারণেই মুকসুদপুর-কাশিয়ানী এলাকায় আওয়ামী লীগ ঘরানার জন্য নিজেকে উপযুক্ত মনে করেন তিনি। এছাড়া নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের ত্যাগী নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে আছেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক এ সভাপতি বলেন, আমি পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছি। এছাড়া আমি ঢাবির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নির্বাচিত ভিপি ছিলাম। বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাতীয় কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, আমি আমাদের দলের সভানেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরতে এলাকাবাসীর মধ্যে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। আমি প্রতিনিয়ত এলাকায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে বৈঠক করে দলীয় নেতাকর্মীসহ এলাকার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এবং জননেত্রীর উন্নয়ন কর্মকাণ্ড জনগণের মধ্যে প্রচার করে যাচ্ছি।
বর্তমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাতীয় কমিটির এ সদস্য বলেন, আমার জেলা-উপজেলায় যারা এখন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে রয়েছেন, আমি তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে সব আন্দোলন সংগ্রাম করছি। প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল এখন ঘরে ঘরে সবাই পাচ্ছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। আগামীতে শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে তরুণ প্রজন্মের স্মার্ট কর্মী দরকার।
খন্দকার মঞ্জুরুল হক বলেন, আমার এলাকার মানুষ চায়, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের লোক মনোনয়ন পাক। এলাকার প্রতিটি সমস্যায় আমি মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। এলাকায় সব দলীয় কর্মসূচী পালন করেছি এবং করোনা মহামারির সময় এলাকার মানুষকে সার্বিকভাবে সেবা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে গেছি। তবে এখানে ত্যাগী ও হাইব্রিডদের নিয়ে কিছু সমস্যা আছে। আশা করি, দল আমাকে মনোনয়ন দিলে সে সব সমস্যা কমে যাবে।
তিনি বলেন, এখন আর কোথাও গ্রাম নেই। শেখ হাসিনা সব গ্রামকেই শহর বানিয়ে দিয়েছেন। তারপরও যেটুকু বাকি আছে আশা করি সেটুকু আর থাকবে না। গ্রামকে শহরের মতো করে গড়ে তুলতে পরিকল্পনা মাফিক কাজ করতে চাই। কাশিয়ানীতে এখনো পৌরসভা হয়নি। আমি গ্রহণ করতে পারলে স্বল্প সময়ের মধ্যে এখানে পৌরসভা তৈরি করব।
তিনি আরও বলেন, দলীয় সভানেত্রী আগামী নির্বাচনে তরুণদের গুরুত্ব দেবেন। কারণ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে তরুণ স্মার্ট কর্মী খুবই প্রয়োজন।
এফকে