করোনার সংক্রমণ মোকাবিলা ও উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর অপতৎপরতা প্রতিরোধ করাই হচ্ছে এ মুহূর্তে সরকারের চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার জনঘনিষ্ঠ যেকোনো ইস্যুতে সবার আগে রেসপন্স করে। দুর্যোগে মানুষের পাশে সবার আগে সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে যায় আওয়ামী লীগ। ঘরে বসে লিপ সার্ভিস দিয়েই বিএনপি নিজেদের দায়িত্ব শেষ করে। করোনার এই দুঃসময়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে বিএনপি কী করেছে তা দেখলেই তাদের মিথ্যাচার আর অপরাজনীতির পাশাপাশি জনগণের প্রতি দায়িত্বহীনতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) ৩০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজার লিংক রোড হতে উনচিপ্রাং পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার সম্প্রসারিত সড়কের উদ্বোধন শেষে তিনি এমন মন্তব্য করেন। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।

তিনি বলেন, ওই দুটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারি কাজের সুসমন্বয় এবং দলের ঐক্য আরও সুসংহত করা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। করোনার এই অবনতিশীল পরিস্থিতিতে জনগণের মধ্যে ঢিলেঢালা ভাব ও উদাসীনতার বিরুদ্ধে লকডাউন নির্দেশনা কঠোরভাবে প্রতিপালনের নির্দেশনা দিয়ে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, এ সময় ভেদাভেদ ভুলে দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ লড়াইয়ের সাহসী কাণ্ডারি শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। 

করোনা মোকাবিলায় সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতা কামনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সবকিছুতে সরকারের ওপর দায় চাপানোর মাধ্যমে বিএনপি তাদের দায়িত্বহীনতা প্রকাশ করতে চায়। বিএনপির মহাসচিব লঞ্চডুবির সঙ্গে প্রাকৃতিক দুর্যোগকেও মিলিয়ে ফেলেছেন।

তিনি বলেন, কোনটি সরকারের দায়, কোনটি নয়; সেটিও বিবেচনায় নেওয়ার সক্ষমতা হারিয়েছে বিএনপি। সমালোচনা বিএনপিকে এমনই অন্ধ করেছে যে এখন কালবৈশাখীর মৃত্যুর দায়ও সরকারের ওপর চাপাচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে হয়ত দেখা যাবে বজ্রপাতে নিহতের ঘটনায়ও সরকারকে দায়ী করছে বিএনপি।

তিনি বলেন, একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের এমন পলায়ন মনোবৃত্তি এবং জনকল্যাণে নিস্পৃহভাব জনগণের প্রতি বিএনপির কমিটমেন্টকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, কক্সবাজারের উন্নয়ন শেখ হাসিনার সরকারের অগ্রাধিকার। শেখ হাসিনার সরকার এ জেলার বিভিন্ন সেক্টরে যে উন্নয়ন করেছে এবং চলমান রয়েছে, কক্সবাজারের ইতিহাসে তা কখনও হয়নি।

এইউএ/এমএআর