বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বক্তব্য রাখেন এমরান সালেহ প্রিন্স

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, চলমান ‘লকডাউন’ নিয়ে সরকারের মন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে মাঠপর্যায়ে লকডাউন কার্যকর হয়নি। এ জন্য চরম বিপাকে পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষকে।

বুধবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সরকারের মন্ত্রীরা লকডাউন বললেও উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন এটি লকডাউন নয়, কিছু বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। লকডাউন নিয়ে সরকারের মধ্যে দুই রকম বক্তব্যে চরম সমন্বয়হীনতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। সরকারের কোন বক্তব্য জনগণ বিশ্বাস করবে? সরকারের এমন সমন্বয়হীনতায় জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। 

প্রিন্স বলেন, মাঠপর্যায়ে লকডাউন বা নিষেধাজ্ঞা যেটিই বলা হোক না কেন তা কার্যকর হচ্ছে না। কার্যকর করতে সরকারের কোনো উদ্যোগ নেই। অপরিকল্পিত ও প্রস্তুতিহীন এ সব পদক্ষেপে নিন্ম আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, শ্রমিক-কর্মচারী সবাই ক্ষুব্ধ।

ফরিদপুরের সালথায় সংঘর্ষ প্রসঙ্গে প্রিন্স বলেন, সরকারের অব্যবস্থার কারণে মানুষ যখন ক্ষোভে ফুঁসে উঠছে তখন তা দমানোর জন্য সরকার গুলি করছে। এ জন্য সালথায় একজন নিহত হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, বাস্তবতা হচ্ছে সরকারি অব্যবস্থাপনায় লকডাউন বা নিষেধাজ্ঞা কোনোটাই মাঠপর্যায়ে কার্যকর হচ্ছে না। সরকারের পরস্পরবিরোধী পদক্ষেপে মানুষ করোনা ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। সর্বত্রই লেজেগোবরে অবস্থা। সরকারের যারা এ ধরনের সিদ্ধান্ত দিচ্ছে, তাদের বেতন-ভাতা কিংবা সুযোগ সুবিধা নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। কিন্তু তাদের সিদ্ধান্তে জনগণকে পড়তে হয় বিপাকে।  তার প্রমাণ সড়ক মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট। শহরের বিভিন্ন স্থানে পরিবহনের জন্য মানুষের দীর্ঘ অপেক্ষা।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় গত বছরের মতোই সরকারের পদক্ষেপ সমন্বয়হীন, অপরিকল্পিত, অদূরদর্শী ও কাণ্ডজ্ঞানহীন বলে দাবি করেন প্রিন্স। তিনি বলেন, এবার সরকার অনেক সময় হাতে পেলেও পূর্বপ্রস্তুতি না থাকায় গতবারের মতোই হ-য-ব-র-ল অবস্থা। হাসপাতাল-গুলোয় অবস্থা বেগতিক। কোনো সিট খালি নেই, নেই পর্যাপ্ত আইসিইউ, ভেন্টিলেটর ও অক্সিজেন। করোনা আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসার জন্য এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ঘুরে রাস্তায়ই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন।  এর দায় সরকারকেই বহন করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বুধবার রাত ১টায় মিজমিজি এলাকার নিজ বাসা থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি নেতা ইকবাল হোসেনকে র‌্যাব পরিচয়ে তোলে নেওয়ার অভিযোগ করেন তিনি।

এইচআর/এসকেডি