মামুনুল হক

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের দ্বিতীয় বিয়ে প্রসঙ্গে সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটি তার ব্যক্তিগত বিষয়। এ নিয়ে হেফাজতের কোনো মাথাব্যথা নেই, আলোচনা নেই। ওনার (মামুনুল হক) বিয়ে শরিয়ত সম্মত ও বৈধ।

রোববার (১১ এপ্রিল) চট্টগ্রামের হাটহাজারী দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদরাসায় একটি সভা করে হেফাজত। বেলা সাড়ে ১১টায় সভাটি শুরু হয়। চলে বিকেল পৌনে ৪টা পর্যন্ত। সভায় মামুনুলের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী।

কী আলোচনা হয়েছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে তেমন বেশি আলোচনা হয়নি। ওনার বিবাহ শরীয়ত সম্মত ও বৈধ। এটা ওনার ব্যক্তিগত বিষয়। এটা নিয়ে হেফাজতের কোনো মাথাব্যথা নেই, আলোচনাও নেই।’

সভায় লকডাউনে মাদরাসা খোলা রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। মাদরাসা বন্ধের ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না বলেও জানান হেফাজতের এ সাংগঠনিক সম্পাদক।

সভায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দেওয়া মামলাগুলো প্রত্যাহার করে দ্রুত গ্রেফতারদের মুক্তি দেওয়ার দাবি জানানো হয়। এসময় সংগঠনের নেতাকর্মীদের হয়রানি বন্ধের দাবিও জানান হেফাজতের নেতারা। এছাড়া আগামী ২৯ মে হাটহাজারী মাদরাসায় ওলামা মাশায়েখ সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে সভায়।

সভায় হেফাজতের আমির মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী, হেফাজত নেতা মাওলানা মহিবুল্লাহ বাবুনগরী, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা সালাউদ্দিন নানুপুরি, মাওলানা আবদুল আউয়াল, মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়েজী, মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন রাজি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীসহ হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয়রা। এরপর সেখান থেকে হেফাজতের নেতাকর্মীরা মামুনুলকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামুনুলের দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে এবং এ নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে মামুনুল বেশ কয়েকবার লাইভে এসে ব্যাখ্যা দিলেও তা নিয়ে এখনো বিতর্ক চলছে।

কেএম/এফআর/জেএস