বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিএনপি চেয়াপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। প্রয়োজনে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদিকী।

তিনি বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত ওনার (খালেদা) শরীরে অতিরিক্ত টেম্পারেচার (তাপমাত্রা) নেই। খাওয়ার রুচি ঠিক আছে, স্বাভাবিক চলাচলে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।’

সোমবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে গুলশানের বাসায় গিয়ে খালেদার সঙ্গে সাক্ষাত শেষে এমনটাই জানিয়েছেন এ চিকিৎসক। তিনি বলেন, ‘আজকে আবার ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে রিপোর্ট পর্যালোচনা করে এসেছি। আপনারা জানেন, উনি করোনা পজিটিভ হয়েছেন। মূলত ওনার শরীরে করোনা উপসর্গ ছিল না। এখন ওনার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে। ম্যাডামের করোনা পজিটিভ হওয়ার পর থেকেই ওনার তাৎক্ষণিক চিকিৎসা শুরু করে দিয়েছি আমরা।’ 
এ চিকিৎসক বলেন, ‘‘আমরা প্রতিদিন খুব নিবিড়ভাবে ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছি। মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা প্রতিদিন রাতে বসে রিপোর্টগুলো পর্যবেক্ষণ করছেন। ম্যাডাম এখন খুব ভালো আছেন। এখন পর্যন্ত ওনার শরীরে কোনো টেম্পারেচার (তাপমাত্রা) নেই। খাওয়ার রুচি ঠিক আছে, স্বাভাবিক চলাচলে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। ম্যাডাম আমাকে বলেছেন, ‘আমার পাশের সবাই যদি পজিটিভ না হতো অথবা আমাকে যদি টেস্ট না করা হতো তাহলে তো আমি বুঝতাম না যে আমার করোনা হয়েছে।’’

তিনি আরও বলেন, ‘করোনা আক্রান্ত হলে প্রথম সপ্তাহে একটু জটিল থাকে। আমরা সেটাকেই দেখছি। দ্বিতীয় সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। ওনার ফিজিক্যালি ও এখন বায়োকেমিক্যাল টেস্ট করা হয়েছে। প্রতি ৪৮ ঘণ্টা পর পর ওনার বায়োকেমিক্যাল টেস্ট করব। তাৎক্ষণিকভাবে বিশেষ কোনো ব্যবস্থা নেওয়া দরকার হলে তখন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থার জন্য আমরা সেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি। সেভাবে আমরা চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত উনি সব দিক দিয়ে ভালো আছেন। ম্যাডাম সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। দেশের সবাই যেন সাবধানে থাকেন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতে চলাচল করেন।’

তিনি বলেন, ‘বাসার সবাইকে আইসোলেশন রাখা হয়েছে। ম্যাডাম শুধু নিজের না বাসার সবাই ভালো আছে কি না- ওষুধ খাচ্ছে কি না, এগুলোর দেখভাল করেন।’

খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেয়া হবে কি না- এমন প্রশ্নে এফ এম সিদ্দিকী বলেন, ‘করোনার সিচুয়েশনে সবাই আনসার্টেন (অনিশ্চিত)। প্রথম সপ্তাহে যেমন পজিশনের পরবর্তী সপ্তাহে কী হবে সেটা কেউই বলতে পারে না। আমাকে সবধরনের প্রস্তুতি আছে। আমরা যদি মনে করি, ওনাকে হাসপাতালে নেওয়া দরকার, ঠিক তাৎক্ষণিক আমরা তাকে হাসপাতাল নিয়ে যাব।’

এএইচআর/এফআর