সরকার রাষ্ট্রীয় বাহিনী ব্যবহার করে বিভিন্ন হুমকি-ধামকি ও লোভ দেখিয়ে বিরোধী শিবির থেকে নেতাকর্মী ভাগিয়ে নির্বাচনে নেওয়ার অপচেষ্টা করছে। কিন্তু এসব করে শেষ রক্ষা হবে না বলে মন্তব্য করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। 

বুধবার (২১ নভেম্বর) যুগপৎ আন্দোলনে থাকা জোট ও দলগুলোর আহ্বানে ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক অবরোধের সমর্থনে মিছিল-সমাবেশ করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। পুরানা পল্টন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হন মঞ্চের নেতারা। এসময় তারা এ কথা বলেন। 

সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, সরকার এখন রাষ্ট্রীয় বাহিনী ব্যবহার করে লোভ-লালসা দিয়ে বিরোধী শিবির থেকে নেতাকর্মী ভাগিয়ে নির্বাচনে নেওয়ার অপচেষ্টা করছে। কিন্তু এসব করে শেষ রক্ষা হবে না। এবার তারা কোনোভাবেই ২০১৪ বা ২০১৮ সালের মতো বিনা ভোটের কিংবা রাতের ভোটের নির্বাচন করতে পারবে না। 

তারা বলেন, বিরোধীদের ছোট একটা অংশকে যদি নির্বাচনের লোভ দেখিয়ে পাতানো ফাঁদে নিতেও পারে, আর বাকিদের সবাইকেও যদি জেলে পুরে রাখে... তারপরও বাংলাদেশের জনগণ এই অবৈধ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। যারা আজকে লোভে পড়ে নির্বাচনে অংশ নেবে, তারা জাতির সামনে বেইমান, মীরজাফর ও দালাল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের জনগণ ভোটাধিকারের এই আন্দোলন জারি রেখেই সরকারের পতন নিশ্চিত করে ঘরে ফিরবে। 

তারা আরও বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে একতরফা নির্বাচন আয়োজনের নাটক মঞ্চায়ন করতে সরকার রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, অগ্নি সন্ত্রাস ও ককটেল সন্ত্রাসের মতো ঘৃণ্য পথ অবলম্বন করেছে। কিন্তু তাদের নিজেদের লোকেরাই বারবার তাদের নাটক জনগণের সামনে প্রকাশ করে দিয়েছে। গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে সরকার রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করে লাগাতারভাবে সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে যাচ্ছে। আদালতকে ব্যবহার করে নজিরবিহীনভাবে রাতের বেলায় কোর্ট চালিয়ে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের ফরমায়েশি রায় দিয়ে সাজা ঘোষণা করেছে। 

এতে সভাপতিত্ব করেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের রাজনৈতিক সমন্বয়ক ফরিদুল হক। পরিচালনা করেন নির্বাহী কমিটির সদস্য প্রীতম দাশ। 

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণতন্ত্র মঞ্চের বর্তমান সমন্বয়ক এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু ও গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদক মণ্ডলির সদস্য জুলহাসনাইন বাবুসহ অনেকে।

ওএফএ/কেএ