মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী/ ছবি : সংগৃহীত

পটিয়া থানার ওসিসহ (তদন্ত) ৯ পুলিশ সদস্যের বদলি চেয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে আবেদন করেছেন চট্টগ্রাম-১২ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী।

এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর আবেদন করেছেন নৌকার এ প্রার্থী।

অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা হলেন, পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. সোলাইমান, এসআই সনজয় ঘোষ, মো. আসাদুর রহমান, রতন কান্তি দে, আকরাম হোসেন সুমন, শিমুল চন্দ্র দাস, জিয়া উদ্দিন, এএসআই মো. ফয়েজ আহমদ, এএসআই অনুপ কুমার।  

নৌকা প্রার্থীর অভিযোগ, চট্টগ্রাম-১২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য, সংসদের হুইপ সামশুল হকের পক্ষে থানার ওসি (তদন্ত) এসআইসহ পুলিশ সদস্যরা ভূমিকা রাখছেন। তারা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষ নিয়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের ঘরে ঘরে গিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি করছেন। পটিয়া থানা থেকে প্রত্যাহার হওয়া নেজাম উদ্দিনের কথা মতো এসব অফিসাররা নৌকা সমর্থিত লোকজনকে হুমকি, ধমকি দিয়ে যাচ্ছেন।

অভিযোগে তিনি আরও বলেন, গত ২১ ডিসেম্বর ডিএম জমির উদ্দিনকে আইসিটি মামলায় জামিন থাকা স্বত্বেও গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরবর্তীতে বাদী আপসনামা দিয়ে মুক্ত হলেও আদালত থেকে বের হওয়ার আগ মুহূর্তে ওসি তদন্ত মো. সোলাইমানের নির্দেশে সম্প্রতি কাশিয়াইশে একটি ঘটনার মামলায় এজাহারভুক্ত না হওয়ার পরও এসআই সনজয় ঘোষের নেতৃত্বে মো. জমির উদ্দিনকে পুনরায় আদালত চত্বর থেকে গ্রেপ্তার দেখায়। মিথ্যা একটি মামলায় কুসুমপুরা ইউনিয়নের নৌকার সমর্থক আবদুল মান্নানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

অভিযোগে তিনি আরও বলেন, এই পুলিশ কর্মকর্তারা পটিয়া থানায় বহাল থাকলে নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা বজায় থাকবে না। তারা আমাদের কর্মী সমর্থকদের ভীতি হয়রানির মধ্যে রেখে আমার প্রতিপক্ষকে পরোক্ষভাবে সহায়তা করছেন।

এসআর/এসকেডি