খালেদা জিয়া/ ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে যাবেন তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা। শনিবার (১৭ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় খালেদা জিয়াকে মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকদের দেখতে যাওয়ার কথা রয়েছে।

চিকিৎসকদের সূত্রে জানা গেছে, করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য দ্বিতীয় সপ্তাহ খুব ‘ক্রিটিক্যাল সময়’। অর্থাৎ আক্রান্তের ৭ দিনের পর থেকে শারীরিক অবস্থা বেশি খারাপ হয়। রোগীর শরীরে জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসে সংক্রমণ দেখা দেয়। তবে এখন পর্যন্ত খালেদা জিয়ার শ্বাসকষ্ট হয়নি। কিন্তু মাঝে মধ্যে শরীরে জ্বর আসে। যদিও সেটা অল্প সময় স্থায়ী হয়। অন্যদিকে সিটি স্ক্যান রিপোর্টে তার ফুসফুসে ‘অত্যন্ত মিনিমাম’ সংক্রমণ পাওয়া গেছে। যার প্রেক্ষিতে নতুন এন্টিবায়োটিক যুক্ত করে চিকিৎসা চলছে।

শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) রাতে খালেদা জিয়াকে দেখে এসেছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিকেলে ম্যাডামের শরীরে হালকা জ্বর এসেছিল। অন্য সবকিছু এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক আছে। তিনি স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিচ্ছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে ডা. জাহিদ বলেন, এখন পর্যন্ত ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) আবার হাসপাতালে নেওয়ার কোনো প্রয়োজনীয়তা দেখছে না মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা। তাই তাকে হাসপাতালে আপাতত নেওয়া হবে না। যদি কখনও হাসপাতাল নেওয়ার প্রয়োজন মনে হয়, তখন সেটা করা হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রতি ৪৮ বা ৭২ ঘণ্টা পরপরই ম্যাডামের যেসব পরীক্ষা করানো দরকার হচ্ছে, সেটা আমরা করছি। আমরা সার্বক্ষণিক তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছি।

গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। তিনি ছাড়াও তার বাসভবন ফিরোজার আরও আটজন ব্যক্তিগত স্টাফের করোনা শনাক্ত আক্রান্ত হয়। তাদের চিকিৎসাও গুলশানের বাসভবনে চলছে।

৭৫ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত। প্রায় আড়াই বছরের মতো কারাগারে ছিলেন তিনি। দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার গত বছরের ২৫ মার্চ ‘মানবিক বিবেচনায় শর্তসাপেক্ষে’ তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। তখন থেকে তিনি গুলশানে নিজের ভাড়া বাসা ফিরোজায় থেকে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন।

এএইচআর/এসএসএইচ