গণঅধিকার পরিষদের একাংশের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া বলেছেন, একটা কথা আছে, যখন তোমার শত্রু কোনো কাজ করতে যাচ্ছে, তাতে বাধা দিও না। যেহেতু ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে ভোটার যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই, সেহেতু সেদিন মূলত আওয়ামী লীগের মরণ ঘণ্টা বাজবে।

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

রেজা কিবরিয়া বলেন, আওয়ামী লীগের কান্নার দিন আসছে। গ্রামে গ্রামে আওয়ামী লীগের লোকদের পানিতে চুবানো হবে। নির্বাচনটা যেহেতু শীতকালে, তারা ভালোই কষ্ট পাবে। এ দেশে আইনের শাসন যেদিন ফেরত আসবে, সেদিন শুধু জেল না, তাদের ফাঁসির কাষ্ঠেও চড়তে হবে।

তিনি বলেন, আজ দেখলাম আওয়ামী লীগ আমেরিকা নিয়ে চিন্তিত। কারণ সবাইকে ঘুষ দেওয়া গেলেও আমেরিকাকে ঘুষ দেওয়া অত সহজ না। আমেরিকা ঘুষ দেওয়া বা চোরদের সম্মান করে না। আওয়ামী লীগ এ দেশের শাসন ব্যবস্থা ধ্বংস করে বাইরের দেশে সুন্দরভাবে থাকতে চায়। কিন্তু তারা সেটা পারবে না, কারণ সেসব দেশে আইনের শাসন আছে। চুরি করা টাকা দিয়ে ভালোভাবে থাকা যাবে না।

আলোচনা সভায় ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন বলেন, আওয়ামী লীগ ৭ জানুয়ারি সুইসাইড করবে। তারা নিজেদের মধ্যে মারামারি করবে। জনগণের বিজয় হবে। সমগ্র জাতিকে একত্রিত করতে হবে। এ সরকারের আমলে ৭ জানুয়ারি কোনো নির্বাচন হবে না। ৭ জানুয়ারি সবাইকে নির্বাচন বর্জন করার আহ্বান জানান তিনি।

গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, আমরা লিফলেট বিতরণ করার সময় দেখতে পেয়েছি, জনগণ এ নির্বাচন মানে না। ৭ জানুয়ারি পাতানো নির্বাচনে জনগণ অংশগ্রহণ করবে না। দেশে প্রহসনের নির্বাচন হচ্ছে।

তিনি বলেন, দেশ মাফিয়া চক্রের মধ্যে পড়ে গেছে। সরকার কাকে কয়টা সিট দেবে, সেটাও আগে থেকে ঠিক করা হয়ে গেছে। সরকার আওয়ামী লীগকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।

জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি কোনো নির্বাচন হবে না। ৭ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ জোরপূর্বকভাবে তাদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চায়। এ সরকার এ দেশের সঙ্গে ছিনিমিনি খেলছে। দেশের অর্থনীতি থেকে শুরু করে সবকিছুর সঙ্গে ছিনিমিনি খেলছে। সবাইকে একত্রিত হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্যসচিব হাবিবুর রহমান রিজু, গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশারাফ আলী আকন্দ প্রমুখ।

ওএফএ/এসএসএইচ