গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, নির্বাচনে আসা সব দলের কোন্দল সামলাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন ওই সব দলের সভানেত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। সবাই এখন তাদের কোন্দল সামলাতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ করেন। তার (প্রধানমন্ত্রী) অনুকম্পা না পেলে কেউ সংসদে যেতে পারছেন না।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘নিশিরাতের ভোট ডাকাতির ৫ বছর ও আবারও একতরফা ডামি নির্বাচনের প্রতিবাদ’ শীর্ষক সমাবেশ ও গণমিছিলে নেতারা এসব কথা বলেন তারা।

পাঁচ বছর আগে এই সরকারের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে কলঙ্কিত করার সূচনা হয়েছিল উল্লেখ করে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, তারা এদিন আগের রাতে ভোট করে পরদিন ঘোষণা দিয়েছে। এবার তারা কাকে কত ভোট দেবে, তালিকা করছে। আওয়ামী লীগ যে গণতান্ত্রিক দল ছিল সেখান থেকে তারা এখন ডাকাতের দলে পরিণত হয়েছে। মানুষকে ভয় দেখিয়ে ভোটকেন্দ্রে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এখন শুধু আওয়ামী লীগের নন, তাকে সব দলেরই সভানেত্রীর দায়িত্ব নিতে হচ্ছে। লোকজন এসে কান্নাকাটি করে বলছে, প্রধানমন্ত্রী যেন তাদের জন্য একটা ব্যবস্থা করেন। এই দলগুলো তার অনুকম্পা না পেলে কেউ সংসদে যেতে পারবে না। তার ভাষ্য মতে, আওয়ামী লীগ সহিংসতাকে এবার নিজেদের দলের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। দলের লোকজন খুন হচ্ছে।

জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকার পুলিশকে দানবে পরিণত করেছে। তাদের দিয়ে বিরোধী দলের নেতা–কর্মীদের খুন, গুম, হেফাজতে নিয়ে নির্যাতন করছে।

সমাবেশে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, আওয়ামী লীগের তৈরি করা কিংস পার্টির লোকজন এসে কান্নাকাটি করে বলছে, প্রধানমন্ত্রী যেন তাদের জন্য একটা ব্যবস্থা করেন। এই দলগুলো তার অনুকম্পা না পেলে কেউ সংসদে যেতে পারবে না। আওয়ামী লীগ সহিংসতাকে এবার নিজেদের দলের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। দলের লোকজন খুন হচ্ছে।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম এবং জেএসডির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি তানিয়া রব।

এমএইচএন/এসকেডি