গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, জনগণের দিক থেকে নতুন গণতান্ত্রিক লড়াইয়ের সূচনা হলো। অবিলম্বে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবিতে জনগণের নতুন লড়াই চলবে। আমরা জনগণের সংগ্রামকে তার কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত সংগ্রামে অবিচল থাকব। 

মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ কথা বলেন। ‘সরকার ও শাসনব্যবস্থা বদলে ঐক্যবদ্ধ হোন এবং তামাশার নির্বাচন, জনগণের প্রত্যাখ্যান ও চলমান আন্দোলন’ — বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এ সময় গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, দেশের জনগণ ভোট বর্জন করেছে, সর্বতোভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। মানুষ তামাশার নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে তাদের রায় জানিয়ে দিয়েছে। এটা কোনও নির্বাচন নয়, জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে জবরদস্তি কায়দায় ক্ষমতার নবায়ন মাত্র।

লিখিত বক্তব্যে গণতন্ত্র মঞ্চের বর্তমান সমন্বয়ক ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, এই ডামি নির্বাচন ও তার ফলাফলকে বাতিল করে একটি অন্তর্বর্তীকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য আমরা আহ্বান জানাই। আমরা আহ্বান জানাই যে, দেশকে একটি দীর্ঘস্থায়ী সংকটের দিকে ঠেলে না দিয়ে অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। আর এখনও জনগণের ইচ্ছার বিপরীতে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে থাকতে চাইলে জনগণ সংগ্রামের মাধ্যমেই ভোটাধিকার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ঐতিহাসিক কর্তব্য পালন করবে। আমরা জনগণের সংগ্রামকে তার কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত সংগ্রামে অবিচল থাকব।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের রাজনৈতিক সমন্বয়ক ফরিদুল হক।

কেএ