জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম বলেছেন, সরকার দেশ পরিচালনায় সার্বিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তারা দেশে সুশাসন উপহার দিতে পারেনি। সরকারের উপর্যুপরি ব্যর্থতার কারণেই মূল্যস্ফীতি এখন সীমা অতিক্রম করেছে। ভেঙে পড়েছে জাতীয় অর্থনীতি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, সরকার জনগণের সমস্যা সমাধানে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। বরং তারা যা করছে, তার সাথে জনগণের স্বার্থের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি মিলনায়তনে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর উত্তরের উত্তরা পশ্চিম থানার এক দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

থানা আমীর মাজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষিদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মাদ রেজাউল করিম। 

মাওলানা আব্দুল হালিম বলেছেন, সরকার জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার কেড়ে নিয়ে দেশকে এক স্বৈরতান্ত্রিক ও মাফিয়া রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। তাই দেশের হারানো গণতন্ত্র ও ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং জনগণের সামগ্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে ঐক্যবদ্ধভাবে জোরদার ভূমিকা পালন করতে হবে। 

আওয়ামী বাকশালীরা এখন ‘ডামি’ ও প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা জবরদখল করে জনগণকে অর্ধচন্দ্র দেওয়ার উল্লাসে মেতে উঠেছে। তারা এখন ভোট ডাকাতির নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার দিবাস্বপ্নে বিভোর। তাই সরকারের দেশ ও জাতিস্বত্ত্বাবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় ইসলামী আন্দোলনের কর্মী ও দায়িত্বশীলদের আত্মগঠনে মনোনিবেশ করতে হবে। দলমত নির্বিশেষে  দ্বীনের দাওয়াত প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছানোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, সরকার নিজেদের অবৈধ ক্ষমতালিপ্সা চরিতার্থ করার জন্যই দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে খেলতামাশার অনুসঙ্গ বানানো হয়েছে। তারা দেশকে ব্যর্থ ও মাফিয়াতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করে জনগণের ওপর নির্মম জুলুম-নির্যাতন অব্যাহত বাস্তবায়ন করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সেই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্যই তারা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের নামে ভোট ডাকাতির নির্লজ্জ মহড়া প্রদর্শন করেছে। 

তিনি অবিলম্বে ‘প্রহসনের নির্বাচন’র সংসদ ভেঙে দিয়ে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আহ্বান জানান। অন্যথায় সরকারকে চড়ামূল্য দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন।

জেইউ/কেএ