দেশের পঁচানব্বই ভাগ মানুষ ভোট দেয়নি, তারা এই সরকার ও সংসদকে প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশের সিংহভাগ মানুষের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে কোন স্বৈরশাসক টিকতে পারেনি, আওয়ামী লীগের স্বৈরশাসনও টিকতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন এবি পার্টির নেতারা।

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) এক বিক্ষোভ ও অবস্থান থেকে এ মন্তব্য করেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) কেন্দ্রীয় নেতারা। 

দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন বিজয়-৭১ চত্বরে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, বিএম নাজমুল হক, সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভুইয়া, অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা ও যুবনেতা খালিদ হাসান।

অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে একটি নির্বাচন করা হয়েছে, যার মাধ্যমে এই ফাইভ পার্সেন্ট সংসদ গঠিত হয়েছে। এই অবৈধ সরকার জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংক লুট, সিন্ডিকেট করে গরীব মানুষের পেটে লাথি মেরে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে জনজীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। এমন একটি শিক্ষা কারিকুলাম ও পাঠ্যবই তৈরি করা হয়েছে যার মাধ্যমে আমাদের সন্তানদের নৈতিকতাকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা চলছে। যার ইন্ধন যোগাচ্ছে পার্শ্ববর্তী একটি রাষ্ট্রের নেতারা। 

তিনি বলেন, আমরা সরকারকে স্পষ্ট করে বলতে চাই, পঁচানব্বই ভাগ মানুষের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো স্বৈরাচার সরকার টিকতে পারেনি, আপনারাও পারবেন না।

মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, একটি জবাবদিহিমূলক সরকার ক্ষমতায় না থাকায় দেশের মানুষ আজ সব বিষয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। আমরা দেশ স্বাধীন করেছিলাম মানুষের গণতন্ত্র ও অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। অথচ সরকার আজ জনগণের ভোটের অধিকারও কেড়ে নিয়েছে। যার ফলে আজ আমাদের কালো পতাকা নিয়ে রাজপথে দাঁড়াতে হচ্ছে। 

আমরা প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই, কালো পতাকার স্থলে প্রয়োজনে বাঁশের লাঠি হাতে আসবে কিন্তু আমরা স্বৈরাচার পতন ঘটাবই। 

তিনি আরও বলেন, আগামী ৩০ তারিখে অবৈধ সংসদ বসতে যাচ্ছে, আমরা এই সংসদ মানি না। এবি পার্টির সংগ্রাম চলছে, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই সংগ্রাম চলবে ইনশাআল্লাহ। 

ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, সংবিধানের ১২৩ (৩) অনুচ্ছেদ না মেনে সংসদ বিলুপ্ত না করেই পরপর দুটো অবৈধ নির্বাচনী নাটক মঞ্চস্থ করেছে বর্তমান স্বৈরশাসকেরা। সংসদের চেম্বারে বসার আসন ৩৫০ হলেও শপথবদ্ধ ভোট ডাকাতদের সংখ্যা বর্তমানে প্রায় ৬৫০ জন। ৫ শতাংশ আওয়ামী ভোটারদের লুটপাটের ডামি সংসদ ও সরকার ‘বন্দুকপ্রতীম’ বিদেশি শক্তির সাহায্যে দেশকে অন্ধকারাচ্ছন্ন জমানায় ফেরত নিচ্ছে, ইসলাম-পূর্ব আইয়্যামে জাহেলিয়াতের জমানার মত। যাদের শেষ পরিণতি ভালো হবে না।

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, এবি পার্টির প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন, সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব আব্দুল বাসেত মারজান, সহকারী সদস্য সচিব শাহ আব্দুর রহমান, যুবপার্টির সদস্যসচিব শাহাদাতুল্লাহ টুটুল সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

জেইউ/পিএইচ