দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের দিনে সংসদ অভিমুখে গণঅধিকার পরিষদের কালো পতাকা মিছিলে পুলিশের বাধা ও লাঠিচার্জ করার অভিযোগ উঠেছে।

গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, বিকেলে বিজয়নগর আল রাজি ভবনের সামনে থেকে তারা মিছিল শুরু করলে পুলিশ মারমুখী অবস্থান নেয়, ব্যানার কেড়ে ছিড়ে ফেলে এবং নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের হুমকি দেয় ও লাঠি চার্জ করে। এতে ১০ জনের বেশি নেতাকর্মী আহত হন। 

দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়, পুলিশের লাঠি চার্জে দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন, উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু  হানিফ, শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, ফাতিমা তাসনিম, জসিম উদ্দিন আকাশ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারজানা কিবরিয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নুসরাত কেয়া, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুনসহ প্রায় ১০ জন আহত হয়েছে। 

পুলিশের বাধা পরবর্তী সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছি কিন্তু পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে হামলা করছে। আজকে দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ হামলা করেছে, অসংখ্য নেতাকর্মীকে আটক করেছে। আমরা চাইলে পুলিশের সাথে ধাক্কাধাক্কি করে মিছিল করতে পারি, এতে আমাদের হয়তো কয়েকজনকে আটক করবে। কিন্তু এতে লাভ কার? 

তিনি আরও বলেন, ২৮ অক্টোবর একজন পুলিশ মারা গেল, এতিম হলো তার সন্তান, বিধবা হলো তার স্ত্রী, লাভ হলো সরকারের। আজকে একটা অবৈধ সংসদের অধিবেশন বসেছে। এই সংসদে কেউ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। এরা অবৈধভাবে সংসদে বসেছে। আজ এই সরকার দৈত্য-দানবের সমেত জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আজ ড. ইউনূসের মতো সম্মানী লোককে কোর্টের বারান্দায় ঘুরতে হচ্ছে।  

সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, সংসদ অভিমুখে আমাদের কালো পতাকা মিছিল ছিল, পুলিশ আমাদের মিছিল পণ্ড করে দিয়েছে। আমাদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে। পুলিশের দায়িত্ব জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া। সেখানে পুলিশ উল্টো অবৈধ ক্ষমতা রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে। 

গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান খানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন— উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন প্রমুখ।


এএইচআর/এনএফ