আমির হোসেন আমু

ইতিহাস বিকৃতি ও বঙ্গবন্ধুকে খাটো করার অপপ্রয়াস কখনও সফল হবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু।

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) কেন্দ্রীয় ১৪ দলের আলোচনা সভায় (ভার্চুয়াল) সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আমির হোসেন আমু বলেন, ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য উদিত হয়েছিল। আর বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুজিবনগর সরকারের অধীনেই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছিল। অসহযোগ আন্দোলনের সময় বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের যে হাই কমান্ডকে জাতির সামনে উপস্থাপন করেছেন তাদের নিয়ে গঠন করা হয় মুজিবনগর সরকার। আর এই সরকারের অধীনেই কাজ করেছেন সব সেক্টর ও সাবসেক্টর কমান্ডারসহ বিভিন্ন ফোর্স। আজ যে যত কথাই বলুক না কেন এরা সবাই ছিলেন মুজিবনগর সরকারের বেতনভুক্ত।

আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ এ নেতা বলেন, আজকে পত্রপত্রিকার আলোচনায় অনেকেই বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধে অনেকের অবদান, সহযোগিতা ছিল, এ দেশের সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ ছিল, তাদের বক্তব্য সব ঠিক কিন্তু এই অবদান, সহযোগিতা কার নেতৃত্বে, কার আহ্বানে হয়েছিল তারা সেই সত্যকে গোপন করতে চায়। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি ও বঙ্গবন্ধুকে খাটো করার এই অপপ্রয়াস কখনও সফল হবে না।

সভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, নীতির প্রশ্নে শক্তভাবে দাঁড়ালে কোনো অশুভ শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে না। ২০১৩ সালের ৫ মে তাণ্ডবের পরই হেফাজত প্রশ্নে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ছিল।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক, চেতনাবোধ ও দেশপ্রেম সঠিকভাবে জাতীয় জীবনে প্রতিফলনের মধ্য দিয়ে তার কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, বিএনপি-জামায়াত ও হেফাজত একই সূত্রে গাঁথা। সাম্প্রদায়িক অপশক্তি দমনে কোনো আপস নয়। দুধ দিয়ে সাপ পুষলে এর ফল কখনও শুভ হয় না।

জাতীয় পার্টি (জেপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম বঙ্গবন্ধু ও মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতার অবদান, তাদের দেশপ্রেম তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানান।

আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাসের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজ ভান্ডারী, বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এস কে সিকদার, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, ন্যাপের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন প্রমুখ।

এইউএ/এফআর