বর্তমান সংসদ গোপাল ভাঁড়ের ক্লাবে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেছেন, ‘এখানে রাজাকে বিনোদন দেওয়াই সংসদ সদস্যদের কাজ। এ সংসদে কার্যত জনগণের কোনো প্রতিনিধি নেই।’

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) আয়োজিত ‘একুশের চেতনায় নতুন বিপ্লব : এবার হবে জনতার সংসদ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন নুর।

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, ‘২০১৪ সালের সংসদ ছিল একটি ভুয়া সংসদ, ’১৮ সালে একটি নিয়ন্ত্রিত সংসদ ছিল এবং ’২৪ সালের সংসদ ডামি সংসদ। আমাদের সামনে সমস্যা আমরা জানি, এটার সমাধান কি হবে সেটাও জানি। কিন্তু কোনো কারণে আমরা সেটির পরিবর্তন করতে পারছি না।’

নুরুল হক নুর বলেন, ‘আমরা এমন এক জাতিতে পরিণত হয়েছি যেখানে আমাদের বই ছাপাতে প্রিন্টিং প্রেস পর্যন্ত নেই। আজ আমাদের পাঠ্যপুস্তক ছাপানো হচ্ছে ভারত থেকে। পাঠ্যপুস্তকের কারিকুলাম সিস্টেম কি হবে সেটাও ভারত থেকে ঠিক করে দেওয়া হয়। এই হচ্ছে দেশের অবস্থা।’

আলোচনা সভায় জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, ‘একুশের যে চেতনা সেই চেতনা থেকে আজ ফ্যাসিবাদী সরকার পুরোপুরি বিচ্যুত। এই ফ্যাসিস্ট সরকার শুধু দুটো কাজ করছে, সেগুলো হলো তারা নিজেদের দুনিয়া গোছাচ্ছে এবং ভারতের দাসত্ব করছে। আজ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার সংসদে বসে থাকার জন্য আমরাসহ সব বিরোধী দলের দায় রয়েছে। এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে জনতার সংসদ সৃষ্টি করতে হবে।’

জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ সভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, ‘আমি ’৭১ আর ’২৪ এর মধ্যে কোনো পার্থক্য খুঁজে পাইনি। ২০২৪ সালে শেখ হাসিনা দেশের মানুষের বাকস্বাধীনতা, ভোটের স্বাধীনতাসহ সবকিছু কেড়ে নিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে নিয়ে যে আশা-আকাঙ্ক্ষা দেখেছিলেন শেখ হাসিনা সেই আশা-আকাঙ্ক্ষাকে গলা টিপে হত্যা করেছে।’

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) মহাসচিব মোমিনুল আমিন, মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলি আকন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহ সভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী প্রমুখ।

এমএইচএন/এসএসএইচ