গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে ক্ষমতার মসনদে বসার পরপরই পিলখানায় নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তারা পিলখানা হত্যাকাণ্ডের দায় এড়াতে পারে না।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) পিলখানা হত্যা দিবসে বনানী সামরিক কবরস্থানে গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং দোয়া- মুনাজাত শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

রাশেদ খান দাবি করেন, ঘটনার দীর্ঘসময় পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত জাতির কাছে কোনোকিছু খোলাসা হয়নি যে, কেন এই নির্মম ঘটনা ঘটলো। শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি এলেও সেটি এখনও করা হয়নি। সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তারাও বিভিন্ন সময় আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন। শোনা যায়, একটি আধুনিক অস্ত্রধারী গ্রুপ মুখোশ পরে সেখানে ঢোকে এবং ১৫ মিনিটের মধ্যে নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে সেখান থেকে বের হয়ে যায়। এই অস্ত্রধারী গ্রুপে কারা ছিল? কেন এখনও পর্যন্ত তদন্ত করে তাদের চিহ্নিত করে জাতির সামনে সবকিছু খোলাসা করা হচ্ছে না? সবকিছুর মধ্যে জনগণ রহস্যের গন্ধ পায়।

সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন, এই ঘটনার উদ্দেশ্য ছিল সেনাবাহিনীকে দুর্বল করা। কোনো আন্তর্জাতিক মহলের তৎপরতায় এ ঘটনা ঘটেছে কি না, সেটিরও তদন্ত হওয়া দরকার। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় দায় তখনকার ক্ষমতাসীন বিএনপির ওপর আওয়ামী লীগ দিয়ে থাকে, কিন্তু পিলখানা হত্যাকাণ্ডের দায় কেন তারা নেন না? আওয়ামী লীগ এবার ডামি নির্বাচন করে ক্ষমতার নবায়ন করেছে। তারা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় সঠিক তদন্ত ও বিচার সম্ভবপর নয়। আগামীতে গণতন্ত্রের সরকার ক্ষমতায় এলে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের যথাযথ তদন্ত এবং শহীদ পরিবর্গকে যথাযথভাবে সম্মানিত করা হবে।

এএইচআর/এসএম