আন্তর্জাতিক নারী দিবসে সর্বজয়া নারীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। শুক্রবার (৮মার্চ) রাতে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ শুভেচ্ছা জানানো হয়।  

এতে বলা হয়, আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। নারী মানে শক্তি, নারী মানে হার না মানা প্রতিজ্ঞা। নারীর সম্মান-মর্যাদা-অধিকার, কর্মক্ষেত্রে ন্যায্য মজুরি, যৌক্তিক কর্ম ঘণ্টা এবং সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতের লক্ষ্যে আজকের দিনটি গৌরবোজ্জ্বল ও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। নিউইয়র্কের নারী শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামকে স্বীকৃতি দিয়ে জাতিসংঘ ১৯৭৭ সালে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ঘোষণা দেয়। নারী দিবস তাই নারীর সংগ্রাম, ত্যাগ ও অবদানকে স্মরণের দিন; পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীর প্রতি সকল বৈষম্য দূর করে সমতা ও সমানাধিকার প্রতিষ্ঠার শপথ নেওয়ার দিন।

আরও বলা হয়, বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নারীর সার্বিক উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের মাধ্যমে লিঙ্গ-বৈষম্যহীন সোনার বাংলা বিনির্মাণের রূপরেখা রেখে গেছেন ১৯৭২ সালের সংবিধানের মাধ্যমে। কর্মক্ষেত্রে নারীর সমতা নিশ্চিতের জন্য ১৯৭২ সালেই তিনি সরকারি চাকরিতে নারীদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করেন। মুক্তিযুদ্ধে বর্বর নির্যাতনের স্বীকার নারীদের 'বীরাঙ্গনা' খেতাব দিয়ে তাদের সামাজিকভাবে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আমাদের দেশ নারী-পুরুষ সমতা ও সমানাধিকার প্রতিষ্ঠায় বিশ্বে রোল মডেল সৃষ্টি করেছে, অর্জন করেছে লিঙ্গ সমতায় দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম স্থান। আওয়ামী লীগ সরকারের সুদীর্ঘ সময়ের নিরলস প্রচেষ্টায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষায় বর্তমানে লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে স্থানীয় প্রশাসন ও তৃণমূল পর্যন্ত সকল গুরুত্বপূর্ণ পদে নারীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়েছে। নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে বহুগুণে। ২০০৯-১০ সালে প্রথমবারের মতো জাতীয় বাজেটে নারী উন্নয়নে বরাদ্দ হিসেবে 'জেন্ডার বাজেট' সংযুক্ত করা হয়, যা সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ছিল মোট বাজেটের ৩৪.৩৭ শতাংশ। নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলা, নারীবান্ধব কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করা, নারীর সুরক্ষায় ও নারীর প্রতি সকল ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধে কঠোর আইন প্রণয়ন করা, রাজনীতিতে নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করার জন্য শেখ হাসিনার গৃহীত উদ্যোগ ও সাফল্য অভাবনীয়। সন্তানের অভিভাবক হিসাবে মাকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঐতিহাসিক রায়ে নারীদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠার অনন্য নজির স্থাপিত হয়েছে।

আজ পরিবার থেকে কর্মক্ষেত্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে রাজনীতি, প্রশাসন থেকে ব্যবসা-বাণিজ্য, খেলাধুলা থেকে গবেষণা সকল ক্ষেত্রে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের স্বাক্ষর রাখছেন আমাদের অপরাজিতা নারীরা। ২০৪১ সালের কাঙ্ক্ষিত 'স্মার্ট বাংলাদেশ' নির্মাণের পথযাত্রার নেতৃত্ব দিতে পারে আমাদের অদম্য নারীশক্তি। সে যাত্রায় তাদের সারথি হওয়ার জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

এমএসআই/এসকেডি