আ.লীগ মূলত ধর্মবিমুখ দল : এবি পার্টি
আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, আওয়ামী লীগ মুখে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বললেও মূলত তারা ধর্মবিমুখ দল। তাদের আসল আদর্শ হলো ধর্মবিমুখতা। ধর্মকে ব্যবহার করে তারা সবসময় ক্ষমতায় আসে, কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর তারা ধর্মের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হয়।
বুধবার (১৩ মার্চ) এবি পার্টির গণইফতার কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে বক্তব্য দানকালে এ কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
এবি পার্টি ঘোষিত মাসব্যাপী গণইফতার কর্মসূচিতে আজও প্রায় সহস্রাধিক জনতা একসঙ্গে বসে ইফতার করে রাজধানীর বিজয় নগর বিজয়-৭১ চত্বরে।
দলের সহকারী সদস্যসচিব শাহাদাত উল্লাহ টুটুলের সঞ্চালনায় আজকের ইফতার পূর্ব আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. আ. আ. ম আরিফ বিল্লাহ।
বিজ্ঞাপন
বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক বিএম নাজমুল হক, যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ ।
মঞ্জু বলেন, বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর সবচেয়ে বেশি নির্যাতন করেছে আওয়ামী লীগ। অন্যায়ভাবে তাদের সম্পত্তি দখলের ঘটনাগুলোর জন্য আওয়ামী লীগ নেতারাই দায়ী।
ড. আ. আ. ম আরিফ বিল্লাহ বলেন, বাংলাদেশ ইসলামি ইতিহাস-ঐতিহ্যের দেশ। এখানে হাজার বছর ধরে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মানুষ একত্রে ইফতারে শামিল হন। কিন্তু এমন ফ্যাসিবাদ আমাদের ঘাড়ে চেপে বসেছে, যারা এখন ইফতার মাহফিল বন্ধেরও হুকুম জারি করছে। কাজেই আমাদের এই সমস্ত ইসলামবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদ করতে হবে। ইসলামের মৌলিক বিষয় সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠায় আমাদের ভূমিকা রাখতে হবে।
তিনি বলেন, এবি পার্টি দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে, গত বছরও তারা মাসব্যাপী সাধারণ মানুষকে নিয়ে ইফতার করেছে। এ বছরও জনগণের জন্য কাজ করছে, এবি পার্টিকে সাধুবাদ জানাই। জনগণকে সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে জেগে উঠতে হবে। নিজেদের অধিকার আদায়ে ভূমিকা রাখতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ডা.মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার বলেন, আমরা জনগণের সেবায় সর্বদা সচেষ্ট থাকার চেষ্টা করেছি। আমাদের এই গণইফতার শুধু খাবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। আপনারা যারা ইফতারে আসছেন, তাদের জন্য আমরা চিকিৎসা সেবা নিয়েও পরিকল্পনা করছি। আমরা ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প করব ইনশাআল্লাহ।
গণইফতারে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুবপার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার ফারুক, যুগ্ম সদস্য সচিব কেফায়েত হোসেন তানভীর, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, ছাত্রপক্ষের আহ্বায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রিপন মাহমুদ, মশিউর রহমান মিলু, পল্টন থানা আহ্বায়ক আব্দুল কাদের মুন্সি, যাত্রাবাড়ী থানা আহ্বায়ক সিএমএইচ আরিফসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
জেইউ/কেএ