মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও চারদিকে দুর্নীতিবাজদের জয় জয়কার চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশের (ন্যাপ) চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।

তারা বলেছেন, স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা ছিল একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ উন্নতির দিকে এগিয়ে যাবে। যেখানে মানুষ আইনের শাসন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের সুযোগ পাবে। আজ স্বাধীনতার ৫৩ বছরে এসেও প্রশ্ন জাগে, জাতি কী তার ওই আশা ও বিশ্বাসের প্রতিফলন দেখতে পেয়েছে নিজের জীবনে?

সোমবার (২৫ মার্চ ) ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও আমরা এখনো পিছিয়ে আছি। রাজনৈতিক অশ্লীলতা, অরাজকতা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, দেশের ভেতর হত্যা, গুম, ধর্ষণ, ঘুষ, অপহরণ, অর্থ-আত্মসাৎ বেড়েছে। চিকিৎসাক্ষেত্রসহ ভেঙে গেছে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা। দেশে অজস্র প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি গড়ে উঠেছে, কিন্তু শিক্ষার মান কেবল দিনদিন নিচেই নামছে। এ পঙ্গু শিক্ষাব্যবস্থা অচিরেই জাতিকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাবে।

ন্যাপের এই দুই নেতা আরো বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য, ৫৩ বছর পরেও বলতে হয় দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়নি। বড় বড় অপরাধ করেও দেশের ক্ষমতাশালী মানুষের কিছুই হচ্ছে না, তারা পার পেয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের জীবন কাটছে চরম নিরাপত্তাহীনতায়। বন্ধ হয়ে গেছে দেশের সাধারণ মানুষের বাকস্বাধীনতাও, সবশেষে দেশের জনগণের নৈতিক অবক্ষয়, মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটেছে আশঙ্কাজনকভাবে।

তারা বলেন, শক্তিশালী বিরোধী দল যেকোনো দেশের সুষ্ঠু গণতন্ত্র চর্চার অন্যতম ভিত্তি। কিন্তু বাংলাদেশে যখনই কোনো দল ক্ষমতার বাইরে অবস্থান করে, সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা না করে ধ্বংসাত্মক রাজনীতির পথ গ্রহণ করে। আবার ক্ষমতার গদিতে যখন যে রাজনৈতিক দল আরোহণ করে তখন বিরোধী দলকে দমন করাই যেন হয় তাদের অন্যতম প্রধান নীতি। এখান থেকে রাজনৈতিক দলগুলোকে বেরিয়ে আসতে হবে।

নেতৃদ্বয় বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যার যতটুকু অবদান তার স্বীকৃতি প্রদানের জন্য রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, স্বাধীনতার একক কৃতিত্ব একটি দল বা এক ব্যক্তির অবদান নয়। ইতিহাস বিকৃতি করে এক দল বা একক কোনো ব্যক্তিকে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা ইতিহাস কখনো ক্ষমা করবে না।

এমএম/পিএইচ