বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বর্তমান সরকার বিভিন্ন ইসলামিক ও ছাত্র সংগঠনের ওপর আক্রমণ করে তাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেছেন, যারা তাদের (সরকার) বিরুদ্ধে কথা বলে তাদেরকে গ্রেফতার করছে। আজকে সমস্ত জাতি জিম্মি হয়ে গেছে। আজকে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন আওয়ামী লীগের লোকেরা, পাহাড় গড়ে তুলেছেন আওয়ামী লীগের মদদপুষ্ট আমলারা।

মঙ্গলবার (৪ মে) দুপুরে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় (ভার্চুয়াল) তিনি এ কথা বলেন।

জিম্মি অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে শ্রমিকশ্রেণি ও তরুণ সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এই অবস্থা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, এতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে সবচেয়ে বেশি কার্যকরী হবে তরুণ-যুবক এবং শ্রমিকশ্রেণি। তাদের একতাবদ্ধ হতে হবে।

রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতেই সরকার লকডাউন দিয়েছে বলে দাবি করে তিনি বলেন, আজকে পরিবহন শ্রমিকরা আন্দোলনে গেছে, যেতে বাধ্য হচ্ছে। কিন্তু তাদের জন্য কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। খেটে খাওয়া মানু্ষ, যারা দিন আনে দিন খায় কিংবা শ্রমিকদের জন্য কোনো ব্যবস্থা না করে তারা এখানে তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করছে।

মাওয়া ঘাটে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় ২৭ জন নিহত হওয়ার প্রসঙ্গে টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের যে কোনো ব্যবস্থাপনা নেই এই দুর্ঘটনা তার একটা কারণ। স্পিডবোট চালু করেছে ঠিক আছে, কিন্তু বোটের লোকসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই।

বিএনপির এ নেতা বলেন, আজকে সরকার লকডাউন দিয়েছে। কিন্তু কোথাও কোনো লকডাউন নেই। গণপরিবহন চালু করল। তারা বলেছে, আন্তঃজেলা পরিবহন হবে না, শুধুমাত্র জেলার মধ্যে থাকতে হবে। এগুলো থেকে বোঝা যায়, কতটা দায়িত্বহীন, কতটা অযোগ্য। আজকে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন আওয়ামী লীগের লোকেরা, পাহাড় গড়ে তুলেছেন আওয়ামী লীগের মদদপুষ্ট আমলারা।

করোনায় আজকে সবচেয়ে বেশি কষ্ট শ্রমিকরা পাচ্ছেন উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, করোনার যে প্রণোদনা সরকার ঘোষণা করেছে, এর মধ্যে কিন্তু শ্রমিকদের জন্য কোনো বরাদ্দ সেভাবে রাখা হয়নি। শ্রমিকদের জন্য সুনির্দিষ্টভাবে কোনো বরাদ্দ রাখা হয়নি। যা কিছু প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে মালিকশ্রেণিকে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এবং আওয়ামী লীগের যারা দোসর তারা নিজেরা নিয়ে চলে যাচ্ছে। আমরা বলেছিলাম, কমপক্ষে তিন মাসের এককালীন ১৫ হাজার টাকা অনুদান দিতে হবে। কিন্তু সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি।

শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুর পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-শ্রম সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান প্রমুখ।

এএইচআর/এফআর