জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, কয়েক কোটি মানুষকে চরম দুর্যোগের মধ্যে ঠেলে দিয়ে বহুতল ভবন বা ফ্লাইওভার নির্মাণ কোনো দেশের উন্নয়নের মাপকাঠি হতে পারে না। দেশের পাঁচ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থান করছে, ৩০ লাখের বেশি গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থী বেকার, প্রতি চারজন শিশুর একজন অপুষ্টির শিকার; তারপরও রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় করে উন্নয়নের ঢাকঢোল পেটানো সাধারণ মানুষের সঙ্গে রসিকতার নামান্তর। 

মঙ্গলবার (৪ মে) জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির ভার্চুয়াল স্থায়ী কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।  

আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘নিরন্ন মানুষের হাহাকার, কর্মক্ষম যুবকদের বেকারত্বের অভিশাপে প্রমাণ হয়েছে সরকারের তথাকথিত উন্নয়ন প্রকৃতপক্ষে সরকারের ব্যর্থতার নির্দেশক। আজ মা অভাবের তাড়নায় নবজাতককে রাস্তায় ফেলে যাচ্ছে- এগুলো সমাজ উন্নয়নের প্রতিফলন নয়।’

তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য, উন্নয়নের নামে বৈষম্যের জন্য নয়। দেশের সম্পদ গুটিকয়েক মানুষের কাছে কেন্দ্রীভূত করে, দুর্নীতির মাধ্যমে অতি দ্রুত ধনী হওয়ার তালিকায় বিশ্বের প্রথম হওয়া কোনোভাবেই জাতির জন্য গৌরবজনক নয়। চর দখলের মতো ক্ষমতায় এসে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সরকার দুর্নীতি ও অপচয় নিয়ন্ত্রণে সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে।’

রব বলেন, ‘সমাজের সব অংশে ও স্তরে মানুষের অংশগ্রহণ ও সম্মতিভিত্তিক গণমুখী সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে পারলে বাংলাদেশের জন্য আরও দ্রুতগতিতে আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্যসহ সব অভিশাপ স্বল্পতম সময়ের মধ্যে নির্মূল করার বিপুল সুযোগ সৃষ্টি হবে।’

স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় রাজনৈতিক, আঞ্চলিক রাজনীতি ও সাংগঠনিক বিষয়ে বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক 
অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেন তালুকদার।

আ স ম আবদুর রবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন স্থায়ী কমিটির সদস্য সা কা ম আনিসুর রহমান খান, মো. সিরাজ মিয়া, তানিয়া রব, শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান মাস্টার, বাবু হিরালাল চক্রবর্তী, আবদুল জলিল চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মাহমুদুর রহমান প্রমুখ।

এইউএ/জেডএস