কোটা সংস্কার আন্দোলন
হতাহতের ঘটনা তদন্তে আন্তর্জাতিক কমিশন গঠনের দাবি জামায়াতের
কারফিউ প্রত্যাহার, গণহত্যা বন্ধ, জুলুম-নির্যাতনের পথ পরিহারসহ আন্দোলনে গ্রেপ্তার সব নেতাকর্মীকে অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। পাশাপাশি জাতিসংঘের তত্ত্বাবধায়নে আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন গঠন করে গণহত্যার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে তাদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার (২৯ জুলাই) জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান এক বিবৃতিতে বলেন, ছাত্রদের অরাজনৈতিক আন্দোলনকে রাজনৈতিক রূপ দিয়ে সরকার দেশে গণহত্যা চালিয়ে এক রক্তাক্ত পরিবেশ তৈরি করেছে। দেশব্যাপী ছাত্রদের অরাজনৈতিক, শান্তিপূর্ণ সুশৃঙ্খল আন্দোলন যখন ব্যাপকতা লাভ করে সরকার তখন এই আন্দোলনকে দমানোর পদক্ষেপ নেয়। সরকারের উসকানিমূলক আক্রমণাত্মক বক্তব্য থেকেই ছাত্রলীগ, যুবলীগ আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করে। সেই সঙ্গে পুলিশ গুলি চালায়। সৃষ্টি হয় গণহত্যার কালো অধ্যায়।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক মহলকে বিভ্রান্ত করার জন্য সরকার বিদেশি কূটনীতিকদের মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করেছে। কূটনীতিকগণ সরকারকে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়ে হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন এবং কতজন লোক নিহত হয়েছে তার তথ্য জানতে চান। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য জানানো হয়নি।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, গণহত্যার বিরুদ্ধে বিশ্বের বিবেকবান মানুষ, জাতিসংঘ, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও প্রতিষ্ঠান প্রতিবাদ জানিয়ে তার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ তদন্ত করে দায়ীদের বিচার দাবি করেছে। বিশ্বের ১৫০ জন বরেণ্য ব্যক্তি জাতিসংঘের নিকট গণহত্যার বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, কারফিউ চলাকালে প্রথম ও দ্বিতীয় দিন অর্ধ-শতাধিক মানুষ নিহত হওয়ার খবর জাতীয় পত্র-পত্রিকা ও গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। ছাত্রদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনের সমন্বয়কদের ধরে নিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদেরকে হাসপাতাল থেকে তুলে নিয়ে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়। সরকারের বলপ্রয়োগের ভূমিকা ছাত্রদেরকে আরও প্রতিবাদী করে তুলছে।
জেইউ/এমএ