অনেকে এখনো নজরদারিতে: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের
ক্যাসিনো থেকে শুরু করে এখনো শুদ্ধি অভিযান চলছে, এখনো অনেকে নজরদারিতে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার (০৩ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিজ্ঞাপন
দুর্নীতি দমনে সামনের দিনে কি উদ্যোগ নেওয়া হবে, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমরা কাউকে ছাড় দিয়েছি কিনা, সেটিই হলো প্রশ্ন। আমাদের আমলে প্রধানমন্ত্রীর শুদ্ধি অভিযানের টার্গেটে রয়েছেন দলের লোকেরা। আমাদের যারাই যখন ধরা পড়েছে, যেমন শাহেদ যেটা করেছে তাকে কিন্তু ছাড় দেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, আমাদের অনেক জনপ্রতিনিধি কারাগারে আছেন। সরকার নিজেদের লোকদের ছাড় দিলে দুর্নীতি অনিয়ম বিস্তার করত। ক্যাসিনো থেকে শুরু করে এখনো শুদ্ধি অভিযান চলছে। এখনো অনেকে নজরদারিতে আছে।
বিজ্ঞাপন
মন্ত্রী বলেন, আমাদের কোথাও কোনো সমস্যা হলে দলীয়ভাবে কেউ যদি কোথাও অনিয়ম করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। গতবার যারা বিদ্রোহী ছিল এবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তারা বিজয়ী হলেও মনোনয়ন দিচ্ছি না। অনেকে অনেক বড় জায়গায় থাকে, সেখান থেকে ছিটকে পড়েছে। এটাও শাস্তি, নানাভাবে দল শাস্তি দিতে পারে। শাস্তিরও নতুন ধরণ আছে।
মন্ত্রিসভায় রদবদল হবে কি-না জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্যানডামিক পরিস্থিতির কারণে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রী তদারকি করছেন। মন্ত্রিসভার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। তিনি যখন মনে করবেন, তখনই রদবদল করবেন। তবে কোথাও কোনো অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে আমার জানা নেই। তবুও রুটিন পরিবর্তন হয়, হয়তো করোনা প্যানডামিকের কারণে সেটি হয়নি।
বিএনপির আন্দোলন বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দীর্ঘ ১২ বছর হয়ে গেলো, আন্দোলন হবে কবে? বছরের শুরুতে বলে এবার সরকার পতনের আন্দোলন, গণঅভ্যুত্থান করবো। গণঅভ্যুত্থানতো দূরের কথা, ছোট একটা ঢেউও তৈরি করতে পারেনি। কর্মীদের চাঙা রাখতে তারা এসব বলেন। আমরা তাদের স্পেস দিয়ে রেখেছি। অথচ তারা ক্ষমতায় থাকার সময় আমাদের দলের অন্তঃসত্ত্বা নারীকেও পিটিয়েছে।
রাজনীতির মাঠ কখনোই সুখকর নয় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিরোধীদলে থাকার সময়ে আমাদের সব নেতারা মাঠে ছিল, কর্মীরা আসতে পারত না, কিন্তু নেতারা থাকত। অথচ তাদের নেতারা বাসায় বসে ফোনে পুলিশের গতিবিধির খবর নেয়।
এসএইচআর/জেডএস