ফারাক্কা বাঁধ

২০২৬ সালে ফারাক্কা চুক্তি শেষ হওয়ার আগেই পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি বলে মনে করছে ওয়ার্কার্স পার্টি। 

শনিবার (১৫ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতি নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে রাজনৈতিক এ দলটি। ১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবসে মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানীকে স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানানো হয় বিবৃতিতে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মাওলানা ভাসানীর ফারাক্কা মার্চের ধারাবাহিকতায় পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারের আমলে ফারাক্কা নিয়ে চুক্তি সম্পাদনের প্রচেষ্টা ছিল। তার ওপর ভিত্তি করেই ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ও ভারতের যুক্তফ্রন্ট সরকারের আমলে গঙ্গার পানিচুক্তি সম্পাদিত হয়। ঐ চুক্তি সম্পাদনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক নদী হিসেবে গঙ্গানদী এবং এর পানিতে বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যার বিষয়টি প্রথম স্বীকৃতি পায়। ওই চুক্তি সম্পাদনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের বামফ্রন্ট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর অবদান এদেশের মানুষ চিরকাল স্মরণ করবে। 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, চুক্তি হিসেবে আদর্শ না হলেও, বিশেষ করে ফারাক্কায় পানিপ্রাপ্তির ভিত্তিতে শুকনো মৌসুমে বাংলাদেশের পানি পাওয়ার বিষয়টিকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টিসহ দেশের অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক শক্তি এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছিল। কিন্তু ঐ চুক্তির পরের বছর থেকেই ভারত বাংলাদেশকে চুক্তির পানি দেয়নি। 

এতে বলা হয়, ফারাক্কায়পানি প্রাপ্তি প্রতিবছর চুক্তির পরিমাণের চেয়ে নিচে থাকার কারণ হিসেবে ভারত ও বাংলাদেশ উভয় সরকারই প্রকৃতির ওপর দোষ চাপিয়ে দায়িত্ব এড়ানোর চেষ্টা করেছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ফারাক্কার ভাটিতে থাকা এলাকায় ভাঙন ও বিহারে পানিপ্রাপ্তি কমে যাওয়ায় ফারাক্কা বাঁধ ভেঙে দেওয়ার দাবি উঠেছে।  

আগামী ২০২৬ সালে ফারাক্কা চুক্তির ত্রিশ বছরের মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ তিস্তা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায়, সেখানে নতুন করে গঙ্গার পানির প্রাপ্যতা নিয়ে আবার চুক্তিহীন অবস্থায় উপনীত হলে সেটি জাতির জন্য বিপর্যয়কর হবে বলেও বলেন ওয়ার্কার্স পার্টির নেতারা।

এইউএ/আরএইচ