বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রিফাত রশিদ।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আয়োজিত ‘মার্চ ফর ইউনিটি অ্যান্ড জাস্টিস’ শীর্ষক ছাত্র সমাবেশ তিনি এ কথা বলেন।

রিফাত রশিদ বলেন, আমরা দেখেছিলাম যখন অভ্যুত্থানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল, পুলিশ বাহিনী রাস্তায় ছিল এবং যখন রাস্তায় কেউ বের হতে পারেনি ঠিক সেই সময় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা রাস্তায় নেমে এসেছিল। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ চালু করতে হবে। অবশ্যই গণপরিষদ নির্বাচন হতে হবে। অন্যথায় জুলাইয়ের স্পিরিট জীবিত থাকবে না। মুজিববাদী সংবিধান কিছুতেই টিকে রাখা যাবে না।

ছাত্র সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিগ্যাল সেল প্রধান তারিকুল ইসলাম বলেন, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গর্জনে শেখ হাসিনার মসনদ কেঁপে উঠেছিল। শেখ হাসিনা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি নিষিদ্ধ করে রেখেছিল। কারণ তারা জানত প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি চালু হলে তাদের রাজনীতি করা অসম্ভব হয়ে যাবে। শেখ হাসিনার পতনের পর আমাদের আংশিক বিজয় হয়েছে। আমাদের রাজপথ ছেড়ে দিলে চলবে না।

তিনি বলেন, ভারতের কর্তৃত্ববাদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না। অনেকেই মনে করে ছাত্ররা কেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হলো? এর কারণ তারা ক্যান্টনমেন্টে যেতে অনিচ্ছুক ছিল। তারা বঙ্গভবনে গিয়েছিল ঐক্যের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে। কিন্তু কিছু রাজনৈতিক দলের অনিচ্ছায় সেটা সম্ভব হয়নি।

আসাদ বিন রনি বলেন, যারা গত জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করেছে তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। এই মুহূর্তে দরকার বিচার আর সংস্কার। সরকারকে অবিলম্বে জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রকাশের আহ্বান জানাই। আবারো যদি ভারতের দুরভিসন্ধির বিরুদ্ধে ডাক আসে আমরা সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা রাজপথে থাকব।

এমএইচএন/এসএসএইচ