২০২১-২০২২ অর্থবছরের জন্য ৬ মাসের অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট চায় বিএনপি। 

দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, শীর্ষ অর্থনীতিবিদরা বলছেন করোনাকালে এবারের বাজেট গতানুগতিক বাজেট হওয়া উচিত নয়। করতে হবে বিশেষ সময়ের বাজেট। এর মূখ্য উদ্দেশ্য হবে করোনার প্রভাব মোকাবিলার মাধ্যমে জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা এবং দুর্ভোগ উপশম করা।

শুক্রবার (২৮ মে) সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ‘বাজেট ভাবনা অর্থবছর ২০২১-২০২২’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।  

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করে স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনতে দরকার হবে সহায়ক নীতি। অনেকে মনে করেন, করোনার ভয়াবহতা না কমলে গতানুগতিক বাজেট করে কোনো লাভ নেই। লক্ষ্য হওয়া উচিত আগামী ৬ মাসের জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট করা।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, মনে রাখতে হবে জীবিকার চেয়ে জীবন আগে। তাই এবারের বাজেট হতে হবে মূলত জীবন বাঁচানোর বাজেট। এ বাজেট হওয়া উচিৎ ঝুঁকি মোকাবিলা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার বাজেট। এ বাজেট হতে হবে জনস্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষার বাজেট।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, পরিকল্পনামন্ত্রী দাবি করেছেন এ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় নাকি ২৪৩ ডলার বেড়ে বর্তমানে ২২২৭ মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। মানুষের অর্থনৈতিক জীবন বিপর্যয়ের যে চিত্র চারিদিকে তাতে তো তা প্রতিভাত হয় না। ক্রনিক্যাপিটালিজমের এ যুগে সরকারের মদদপুষ্ট কিছু ব্যক্তির ভাগ্য আরও প্রসন্ন হয়েছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আম-জনতার আয় বরং আরও কমেছে। বিশ্বব্যাংকের এক গবেষণায় দেখা গেছে মানুষের আয় কমেছে ৩৭
শতাংশ। বেতননির্ভর মানুষের আয় কমেছে ৪৯ শতাংশ। দেশে গত কোভিড সময়ে ২ কোটি 8৫ লক্ষ নতুন দরিদ্রের সৃষ্টি হয়েছে। তাহলে মাথাপিছু আয় বাড়ল কার? 

আসছে বাজেটেও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, অর্থমন্ত্রী বলেছেন, যতদিন অপ্রদর্শিত আয় থাকবে, ততদিন এ সুযোগ থাকবে। অর্থাৎ হরিলুট করে অর্জন করা কালো টাকা জায়েজ করার দরজা অবারিত করে দিলেন অর্থমন্ত্রী, যা অনৈতিক এবং সৎ পথে চলা নাগরিকদের প্রতি অবিচার। কোভিডকালীন সময়ে এত কালো টাকা কারা আয় করেছে জাতি তা জানতে চায়। জাতি জানতে চায় এরা কারা? যদিও এরই
মধ্যে সরকারদলীয় ও সরকারের মদদপুষ্ট অনেক রাঘব বোয়ালের নাম বেরিয়ে পড়েছে। 

বিএনপির পুরো বাজেট ভাবনা পড়তে এখানে ক্লিক করুন। 

এএইচআর/এনএফ/জেএস