জুলাই ঐক্যের বিক্ষোভ
হাসিনা সরকারের রাষ্ট্রপতি খুনের মামলা মাথায় নিয়ে কিভাবে পালায়?
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ও সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের বিষয়ে জবাব চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিক্ষোভ মিছিল করেছে জুলাই অভ্যুত্থান থেকে উদ্বুদ্ধ ৩৫টি সংগঠনের জোট ‘জুলাই ঐক্য’। আবদুল হামিদের দেশত্যাগের সঙ্গে জড়িতদের বিচারও দাবি করেছে সংগঠনটি।
গতকাল রাত ১০টায় বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বর থেকে শুরু হয়ে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
বিজ্ঞাপন
সমাবেশে বক্তারা বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের রাষ্ট্রপতি খুনের মামলা মাথায় নিয়ে কিভাবে পালিয়ে যায়? এর সঙ্গে প্রশাসনের কর্মকর্তা ও উপদেষ্টাদের হাত রয়েছে। কেন এখনও খুনিরা আরাম-আয়েশে দিন কাটায়? জুলাই ঐক্য মুক্তিকামী ও ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে যেসব কর্মসূচি ঘোষণা করবে আমরা বিভিন্ন সংগঠন সংহতি জানিয়ে তার সঙ্গে থাকবো।
এ সময় তারা অবিলম্বে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিও জানান।
বিজ্ঞাপন
জুলাই ঐক্যের সংগঠক এবি জুবায়ের বলেন, অভ্যুত্থানের পরে আমরা একটি সমৃদ্ধ দেশের আশা রেখেছিলাম। কিন্তু আমরা রক্ত দিয়ে এমন এক সুশীল ইন্টেরিমকে ক্ষমতায় বসিয়েছি তারা আওয়ামী দোসরদের বিদেশে পালিয়ে যেতে সাহায্য করছে। আমরা আবার ঐক্যবদ্ধ হয়েছি।
তিনি বলেন, আমরা রক্ত দিয়ে আপনাদের সুশীলতা করতে ক্ষমতায় আনিনি। অতিদ্রুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে আওয়ামী লীগের খুনিদের বিচার নিশ্চিত করুন।
একই দাবিতে তার আগে একটি বিক্ষোভ থেকে ঢাবি শিক্ষার্থী তানজিলা তামমিম হাফসা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান কাজ ছিল জুলাই অভ্যুত্থানের গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করা, কিন্তু তা না করে জড়িতদের সেফ এক্সিট দেওয়া হচ্ছে। কাজে ফিরে গেলেও আমরা জুলাই ভুলে যাইনি। তাই আপনাদের যে দায়িত্ব তা পালন করুন এবং গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করুন।
আরও পড়ুন
আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত না করতে পারলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়ে রাইয়ান ফেরদৌস নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, এই সরকার না পেরেছে শহীদের পুনর্বাসন করতে, না পেরেছে আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করতে। অথচ এই সরকারের উপদেষ্টাদের কারণে খুনিরা দায়মুক্তি পেয়ে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় আবদুল হামিদকে দেশের বাইরে পালিয়ে যেতে সহায়তা করা হয়েছে। যদি আপনারা সংবিধান সংশোধন ও আওয়ামী লীগের বিচার করতে না পারেন, তাহলে অবিলম্বে পদত্যাগ করুন।
এনএফ