ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগর কমিটির সভা

জিয়া-এরশাদ যা পারে নাই, সেই রাষ্ট্রায়ত্ত খাতকে ব্যক্তি খাতে তুলে দেওয়ার কাজটি সম্পন্ন করেছে বর্তমান সরকার। এমনটাই মন্তব্য করেছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। সোমবার (৭ জুন) ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগর কমিটির সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু নির্দেশিত পথের উল্টো দিকে হাঁটছে। বঙ্গবন্ধু প্রবর্তিত সংবিধানের ১৩ (ক) তে রাষ্ট্রায়ত্ত খাতকে প্রধান করা হয়েছে। সেখানে বঙ্গবন্ধু কন্যার অর্থমন্ত্রী বাজেটোত্তর সাংবাদিক সম্মেলনে ব্যক্তি খাতকে ড্রাইভিং সিটে বসানোর কথা সগৌরবে ঘোষণা দিয়েছেন।’

তিনি বলেন, পিপিপি-র ঘোমটা খুলে বন্ধ করে দেওয়া পাটকলগুলোকে ব্যক্তি মালিকদের দিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সংবিধানের পরিপূর্ণ ব্যত্যয় অর্থমন্ত্রী ঘোষিত এসব পদক্ষেপ জনগণ গ্রহণ করবে না।

এ সময় ১৯৬৬-এর ৬ দফা দাবিতে ৭ জুনের হরতালে শহীদ শ্রমিকদের স্মরণ করেন রাশেদ খান মেনন। 

তিনি বলেন, শ্রমিকরা এগিয়ে এসেছিল বলেই ৭ জুনের হরতাল সফল হয়েছিল। ১১ দফা শ্রমিকদের দাবি সম্বলিত করে উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ভিত্তি রচনা করেছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। সেই মুক্তিযুদ্ধের অর্জন ৭২-এর সংবিধান। কিন্তু অর্থমন্ত্রী বাজেটে কেবল ব্যক্তি খাতকে প্রাধান্যই দেন নাই, কোভিডে কর্মহীন শ্রমিক ও শ্রমজীবী মানুষের পুনর্বাসনের, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার কোনো সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা নাই। এই বাজেট সাধারণ জনগণকে কিছুই দেয় নাই।

ঢাকা মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি আবুল হোসাইনের সভাপতিত্বে সভার সঞ্চালনা করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক কিশোর রায়। আলোচনায় অংশ নেন মহানগর নেতা জাহাঙ্গীর আলম ফজলু, মো. তৌহিদ, কাজী আনোয়ারুল ইসলাম টিপু, সাদাকাত হোসেন খান বাবুল, বেনজীর আহমেদ, মুর্শিদা আখতার নাহার, মাহমুদুল হক সেনা, শিউলী সিকদার, তাপস কুমার রায়, অতুলন দাস আলো, মামুন প্রমুখ।

সভার শুরুতে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। এ সময় করোনা অতিমারি সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে ঢাকা মহানগরে মাস্ক বিতরণ করার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।

এইউএ/এমএইচএস