এস এম কামাল হোসেন। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে হাতে খড়ি। বিদ্যালয় থেকে কলেজ, জেলা থেকে মহানগর, তৃণমূলের বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে উঠে আসেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে। নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক, নির্বাহী কমিটির সদস্য থেকে দায়িত্ব পেয়েছেন সাংগঠনিক সম্পাদকের। 

সম্প্রতি দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচিত ‘দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন’, ‘রাজনীতিতে শক্তিশালী বিরোধী দলের অনুপস্থিতি’, ‘ই-পাসপোর্ট থেকে ইসরায়েল প্রসঙ্গটি ফেলে দেওয়া নিয়ে সৃষ্ট বিতর্ক’ এবং ‘শেখ হাসিনার পরনির্ভরশীলতা নীতি’সহ নানা বিষয়ে ঢাকা পোস্টের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেন এস এম কামাল হোসেন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক আমানউল্লাহ আমান।  

ঢাকা পোস্ট : একটি শক্তিশালী বিরোধী দলের অনুপস্থিতির কথা বলা হয়। প্রকৃত পক্ষে দেশে কি শক্তিশালী বিরোধী দল অনুপস্থিত?
 
এস এম কামাল হোসেন : আমরাও চাই একটি শক্তিশালী বিরোধী দল, যারা সরকারের ভুলত্রুটিগুলো তুলে ধরবেন। যারা সরকারের অনিয়ম হলে সেই অনিয়মের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে আন্দোলন করবেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বিএনপি তার মূল নেতৃত্বের ব্যর্থতার কারণে সাধারণ জনগণ তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন না। বিএনপির নেতৃত্ব যে লুটপাট করেছেন, তাদের অনেক নেতাই আজ রাস্তায় নামতে ভয় পান।

ঢাকা পোস্ট : বর্তমান সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?

এস এম কামাল হোসেন : বিএনপি তো জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তারা বুঝতে পেরেছে নির্বাচনে গেলে ভরাডুবি হবে। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল, বিএনপি কীভাবে দেশ পরিচালনা করেছে জনগণ এখনও ভোলেনি। দেশের সাংবাদিক সমাজও ভোলেনি যে তাদের আমলে কীভাবে সাংবাদিকরা নির্যাতিত হয়েছে। শিক্ষক সমাজ ভোলেনি। সাধারণ মানুষ ভোলেনি। কৃষক-শ্রমিকও ভোলেনি। কীভাবে বিদ্যুৎ চাইতে গিয়ে কৃষককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, সার চাইতে গিয়ে কৃষককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। 

বিএনপির আমলটা ছিল অন্ধকারময়। ক্ষুধা-দারিদ্র্য, দুর্ভিক্ষের যুগ; সন্ত্রাসের যুগ, জঙ্গিবাদের যুগ। বাংলাদেশ অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছিল। বাংলাদেশ পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ৫০০ বোমায় ৬৩ জেলা ক্ষত-বিক্ষত হয়েছিল। অর্থাৎ বিএনপি দিয়েছিল অন্ধকার যুগ।

বর্তমানে বিএনপি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। দলটির নেত্রী এতিমের টাকা আত্মসাৎ করায় আজ জেলখানায়। যদিও সরকারের সদিচ্ছায় তাকে আপাতত মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বিএনপির এখন যিনি মূল নেতা, তিনি মুচলেকা দিয়ে দেশের বাইরে যান। দেশের বাইরে গিয়ে এখন তিনি ভোগবিলাসের জীবনযাপন করছেন। নির্বাচনে অংশগ্রহণের নামে মনোনয়ন বাণিজ্য করছেন। ফলে নেতাকর্মীরা বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। বিএনপি জানে নির্বাচনে গেলে তারা হেরে যাবে। এ কারণে তারা নির্বাচন বয়কটের চিন্তাভাবনা করছে।

ঢাকা পোস্ট : দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক আছে। আসলে এটা থেকে দলের অর্জনটা কী?
 
এস এম কামাল হোসেন : দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দলীয় নীতি-আদর্শ একেবারে তৃণমূল পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। দল কী চায়, জননেত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্য কী, জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডগুলো তৃণমূলে অর্থাৎ একেবারে ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের মাধ্যমে। এমন সিদ্ধান্ত কিন্তু আওয়ামী লীগের একার বিষয় নয়। নির্বাচন কমিশন যখন সিদ্ধান্ত নেয় তখন সুশীল সমাজকেও ডেকেছিল। বিএনপিকেও ডেকেছিল, অন্যান্য রাজনৈতিক দলকেও। তারা কিন্তু সেখানে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের সম্মতি দেয়।

ঢাকা পোস্ট : দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ভাবনা থেকে সরে আসার সম্ভাবনা কতটুকু?

এস এম কামাল হোসেন : দলীয় প্রতীকে যদি সব দল নির্বাচন না চায় তাহলে তারা নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করুক। নির্বাচন কমিশন যদি আমাদের ডাকে তাহলে দলের কার্যনির্বাহী সংসদে আমাদের নেত্রীর নেতৃত্বে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানাব। অন্যান্য দল যদি মনে করে আমরা দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করব না, তাহলে তারা নির্বাচন কমিশনকে জানাক। দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সিদ্ধান্ত তো সরকার নেয়নি, আওয়ামী লীগও নেয়নি। সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমরা সেটিকে স্বাগত জানিয়েছি। যদি সব রাজনৈতিক দল মনে করে দলীয় প্রতীকে তৃণমূলের নির্বাচন করা ঠিক হবে না, তাহলে আমাদের দলের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কার্যনির্বাহী সংসদের সভা ডেকে সিদ্ধান্ত নেবেন।

ঢাকা পোস্ট : স্থানীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলীয় সিদ্ধান্ত ভঙ্গের ঘটনা ঘটছে। দলীয় সিদ্ধান্ত ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে দল কী সিদ্ধান্ত নেবে?

এস এম কামাল হোসেন : শুধু তৃণমূলের নির্বাচন অর্থাৎ ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নয়; জাতীয় পর্যায়ের নির্বাচনেও কিন্তু আমাদের দলের ভেতরে দ্বন্দ্ব থাকে। সেই দ্বন্দ্বেও নেত্রী নির্দেশে আমাদের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকেন। দু-একটি জায়গায় অনেক সময় বিদ্রোহী প্রার্থী দাঁড়ান। মূলত, শক্তিশালী বিরোধী দল না থাকায় অনেকে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়ে যান, কিন্তু সেটা খুবই কম। এবার যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, অধিকাংশ জায়গায় দলীয় প্রতীকে দল ঐক্যবদ্ধ ছিল। দু-একটি জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। সেখানেও আমাদের নেত্রীর নির্দেশে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, যারা বিদ্রোহী প্রার্থী অর্থাৎ নৌকার প্রতীকের বিরুদ্ধে যারা নির্বাচন করেছেন তারা দলের কোনো পর্যায়ের নেতা হতে পারবেন না। সাংগঠনিক পদ থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাদের বহিষ্কার করা হবে কি না, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় জননেত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।
 

ঢাকা পোস্ট : ইসরায়েলের সঙ্গে বাংলাদেশের ‘সম্পর্ক’ নিয়ে আলোচনা সর্বত্র। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?

এস এম কামাল হোসেন : বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর আমরা নতুন পাসপোর্ট পাই। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ওই পাসপোর্টে লেখা হয় ‘ইকসেপ্ট ইসরায়েল’। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর (এ কে আব্দুল মোমেন) ব্যাখ্যা যেটা দেখলাম, ই-পাসপোর্ট হচ্ছে বিশ্বমানের, এ কারণে আজ হয়তো শব্দটা নেই। জননেত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনের মানুষের জন্য ঔষধসহ অন্যান্য সামগ্রী পাঠিয়েছেন, আন্তর্জাতিকভাবে চাপ দিয়েছেন যুদ্ধ বন্ধ করতে, নির্যাতন বন্ধ করতে। তিনি সবসময় ফিলিস্তিনের মানুষের পক্ষে। উনি যখন বিরোধী দলে ছিলেন তখনও।

ওআইসিভুক্ত (অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন) দেশগুলোতে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পাঠিয়ে এবং আমাদের বাংলাদেশেও ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের ডেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রিফিং করেছেন এবং জাতিসংঘে প্রেশার দিয়েছেন যে, এ যুদ্ধ (ফিলিস্তিন-ইসরায়েল) বন্ধ করতে হবে।

আজ বিএনপি তো স্ববিরোধী কথা বলে। বিএনপি এক সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির আসাকে কেন্দ্র করে বাবুনগরীদের উস্কে দিল। বাবুনগরীদের পক্ষ নিল, মামুনুল হকদের পক্ষ নিয়ে বললো যে, মোদি আসতে পারবেন না। অথচ ২০১৪ সালে মোদির নেতৃত্বে বিজেপি যখন সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে তখন বিএনপির নেতাকর্মীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন, তাদের অফিসে মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছিল। বিএনপির নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মোদিকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। বিএনপির পার্টনার জামায়াতে ইসলামীর আমির মোদিকে ভাবী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন।

২০১৫ সালে মোদি যখন বাংলাদেশে আসেন তখন বেগম খালেদা জিয়া তার দল নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে মোদির সঙ্গে দেখা করেন। সেদিন ব্রিগেডিয়ার (অব.) হান্নান শাহ কী বলেছিলেন? ‘আমাদের নেত্রীর সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ১৫ মিনিট কথা বলেছেন। কী কথা বলেছেন, সেটা প্রকাশ করব না। আমি শুধু এটুকু বলতে চাই, ভারতের জনগণের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের নেত্রীকে সরকার দেখা করতে দিতে চায়নি।’ অর্থাৎ তখন ছিল ভারতের জনগণের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী আর যখন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে (বিজেপির নরেন্দ্র মোদিকে নয়) বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশের সরকার দাওয়াত দেন তখন এই বিএনপি-জামায়াতের পৃষ্ঠপোষকতায় মামুনুল হক-বাবুনগরীরা মোদির বিরোধিতার নামে তাণ্ডব চালায়।

আপনারা জানেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখেছি, তারেক রহমানের সঙ্গেও তারা বৈঠক করেন। তারা (বিএনপি) গোপনে ও প্রকাশ্যে তাদের (ইসরায়েল) সঙ্গে দেখা করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে। আর যে প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনের মানুষের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন, ইসরায়েলের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন, জাতিসংঘকে চাপ দিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে কথা বলছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মির্জা ফখরুল সাহেবের আগে পদত্যাগ করা উচিত। উনি বাংলাদেশের মানুষের জীবন-মরণ সমস্যার সমাধানের জন্য যে ভ্যাকসিন, সেই ভ্যাকসিন যখন জননেত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে দেশে আনেন, তখন বিএনপি দুই ধরনের বক্তব্য দেয়। এই মির্জা ফখরুল সাহেব বলেন, ‘এটা হচ্ছে ভিআইপিদের ভ্যাকসিন’। মির্জা ফখরুলদের মুখপাত্র রিজভী সাহেব বলেন, ‘গরিব মানুষকে মারার জন্য এ ভ্যাকসিন আনা হয়েছে’।

তাদের (বিএনপি) ঘরের বুদ্ধিজীবী ড. জাফরুল্লাহ সাহেব বললেন, ‘এটা মুরগির ভ্যাকসিন’। অথচ তারাই আগে ভ্যাকসিন নিয়েছেন। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছেন। দুই ধরনের বক্তব্যের কারণে মির্জা ফখরুল সাহেবের উচিত হয় রিজভীকে দল থেকে বহিষ্কার করা, অথবা নিজে দল থেকে পদত্যাগ করে তারপর কথা বলা।

ঢাকা পোস্ট : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতার পালাবদল হলো। মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর নৃশংসতার মুখেও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীরা। বাংলাদেশে এসবের প্রভাব কতটুকু পড়তে পারে বলে আপনি মনে করেন?

এস এম কামাল হোসেন : বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জননেত্রী শেখ হাসিনা হচ্ছেন জনগণের নেত্রী। বাংলাদেশের নেত্রী। উনি বাংলাদেশের মানুষের চোখের ভাষা বোঝেন। মনের কথা বোঝেন। সেটা বোঝেন বলেই মানুষের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী, তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য, মানুষের প্রত্যাশা পূরণের জন্য তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। মানুষের চিন্তা-চেতনার সঙ্গে ওনার চিন্তা-চেতনার মিল আছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা মানুষের চোখের ভাষা বুঝেই করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ করেন। যাতে জনগণের উপকার হয়।

আমরা মনে করি, জনগণের নেত্রী বাংলাদেশের মানুষের ওপর নির্ভরশীল। অন্য কারও ওপর নয়। অন্য দেশ আমাদের জন্য কিছু করবে, এটা আমরা বিশ্বাস করি না। বাংলাদেশের জনগণ, শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ— অভিন্ন হয়ে গেছে।

বাংলাদেশের ৮৪ ভাগ লোক মনে করেন শেখ হাসিনা সঠিক পথে আছেন। শেখ হাসিনা সঠিকভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বাকি যারা আছেন তারা সুবিধাবাদী। তারা দেশটাকে ভালোবাসেন না। দেশের মানুষকে ভালোবাসেন না। তারা শুধু নিজেকে ভালোবাসেন। নিজের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে চান। তারাই জননেত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা করেন। তারাই জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরোধিতা করেন।

যখন আম্ফান (ঘূর্ণিঝড়) হয়েছিল, সারারাত জেগে ২৪ লাখ লোককে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়ার পর ফজরের নামাজ পড়ে তিনি বিছানায় গিয়েছিলেন। তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনা। আমরা‌ মনে করি, আমরা কোনো দেশের ওপর নির্ভরশীল নই। আমরা বাংলাদেশের জনগণের ওপর নির্ভরশীল। জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনগণের ওপর আস্থা রাখেন, তাদের ওপর বিশ্বাস রাখেন। এ কারণে তিনি আজ বিশ্বের সততার প্রতীক।

সততা, সাহসিকতা, দক্ষতা আর দিন-রাত পরিশ্রম করে জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। জনগণের ভালোবাসা নিয়ে তিনি যে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তার ফলস্বরূপ মানবিক রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন শেখ হাসিনা।
 
এইউএ/এমএআর