ফ্যাসিবাদকে চূড়ান্তভাবে পরাজিত করতে টেকসই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেছেন, আগামী নির্বাচন হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য।

শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি। গণসংহতি আন্দোলনের ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জনগণের মুক্তিসংগ্রাম ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সব শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

জোনায়েদ সাকি বলেন, অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকার বিদায় হয়েছে কিন্তু ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার এখনও বিদায় হয়নি। চব্বিশের অভ্যুত্থানে শহীদদের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে হলে দরকার ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার নিরসন করা। যে সরকার ও শাসন ব্যবস্থার মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী সরকার প্রতিষ্ঠা হয় আমরা সেই ব্যবস্থা বদলের জন্য লড়াই করছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা এমন এক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চাই যেখানে নাগরিক হিসেবে সবাই আত্মমর্যাদা নিয়ে বসবাস করবে। সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচন এখন আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার।

জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তর সম্পন্ন করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন সাকি।

জোনায়েদ সাকি বলেন, গত ৫৪ বছরে মানুষের মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আমরা দেখেছি কীভাবে দেশে বিভাজন তৈরি করেছে, কীভাবে মানুষে-মানুষে দ্বন্দ্ব লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে, যারা সংখ্যায় কম তাদের নিপীড়ন করা হয়েছে, একটা ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে— এগুলোকে মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা বলে না।

গণসংহতি আন্দোলন প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লড়াই করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা দল হিসেবে সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে সংগ্রাম সংগঠিত করেছি। গত ২৩ বছর ধরে লড়াইয়ে আমাদের সহযোদ্ধারা শহীদ হয়েছেন, জেল খেটেছেন, হামলা-মামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা জাতীয় সম্পদ রক্ষার লড়াইয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছি। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অবিচল থেকে অবিরাম লড়ে গেছি। সামনের দিনেও যেকোনো ফ্যাসিবাদী তৎপরতার বিরুদ্ধে লড়াই জারি থাকবে, সেই ফ্যাসিবাদ যে নামে বা রূপেই আসুক না কেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভুঁইয়া, জুলহাসনাইন বাবু, দীপক কুমার রায়, কেন্দ্রীয় সদস্য মিজানুর রহমান মোল্লা, পেশাজীবী সংহতির সংগঠক রুম্মন সিদ্দিকী প্রমুখ।

এএইচআর/এমএন