সরকার দৃঢ় না হলে, সুষ্ঠু নির্বাচন অসম্ভব হয়ে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। তিনি বলেন, কারও জেদ এবং হঠকারিতায় গণতন্ত্রের পথ বিপন্ন হলে ইতিহাস তাদের ক্ষমা করবে না, পলাতক ফ‍্যাসিবাদীর পাশে তাদের নাম লেখা থাকবে।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাজধানীর তোপখানা সেড়কের ফারইস্ট ইন্স্যুরেন্স টাওয়ারের অডিটরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। এতে দলের প্রাথমিকভাবে মনোনীত শতাধিক প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দলটি।

দলের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদের সঞ্চালনায় দলের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন।

মঞ্জু বলেন, নতুন দল হিসেবে এবারের নির্বাচন এবি পার্টির নতুন রাজনৈতিক অধ্যায় শুরু হচ্ছে। আমরা দলীয়ভাবে আজ শতাধিক প্রার্থীর নাম ঘোষণা করছি। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে এখনো জনমনে সন্দেহ সংশয় কাটছে না। 

তিনি বলেন, এবি পার্টি মনে করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এখনো যেভাবে বিভিন্ন বিষয়ে মতভেদ প্রকাশ করছে, তাতে অন্তর্বর্তী সরকারকে আরও একটু মজবুত ভূমিকা নেওয়া প্রয়োজন।

এবি পার্টি আগামী নির্বাচনে কোনো জোটে যাবে কি না এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মঞ্জু বলেন, দলগতভাবে সর্বোচ্চ সংখ্যক আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রস্তুতি নিচ্ছে এবি পার্টি, পাশাপাশি একটি মধ্যপন্থি জোট গঠনের প্রয়াসও চলমান থাকবে। শুধু নির্বাচন কেন্দ্রিক নয় জুলাইয়ের ঐক্য ও অঙ্গীকার রক্ষায় নতুন রাজনৈতিক জোট গড়ে তোলা হবে বলেও তিনি অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। 

কয়েকটি রাজনৈতিক দলের বিভেদ ও পরস্পর কাদা-ছোড়াছুড়ির সমালোচনা করে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, কারও জেদ এবং হঠকারিতায় গণতন্ত্রের পথ বিপন্ন হলে ইতিহাস তাদের ক্ষমা করবে না, পলাতক ফ্যাসিবাদীর পাশে তাদের নাম লেখা থাকবে।

সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, এই সরকার গণঅভ্যুত্থানের সরকার কিন্তু কেউ কেউ এটাকে সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদের সরকার বলে হেয় করার চেষ্টা করে। মুসলিম লীগ ও আওয়ামী লীগ দুটি দেশের স্বাধীনতার নেতৃত্ব দিলেও রাজনৈতিক ভুলের কারণে ইতিহাসের ভিলেন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাস্তবতা বুঝতে না পারলে আমাদের কারও কারও পরিণতিও সেরকম হবে।

এ সময় দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন– সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. ওহাব মিনার, ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর কাসেম, অ্যাডভোকেট গোলাম ফারুক, বিএম নাজমুল হক, লে. কর্নেল অব. দিদারুল আলম, লে. কর্নেল অব. হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভুঁইয়া, আবদুল্লাহ আল মামুন রানা, আনোয়ার সাদাত টুটুল, এবিএম খালিদ হাসান ব্যারিস্টার সানী আবদুল হক, ব্যারিস্টার নাসরিন সুলতানা মিলি, আমিনুল ইসলাম, শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, আলতাফ হোসাইন, শ্যাডো অ্যাফেয়ার্স সেক্রেটারি ব্যারিস্টার আব্বাস ইসলাম খান নোমান, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সিদ্দিকুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ লোকমান ও আব্দুল বাসেত মারজান।

জেইউ/বিআরইউ