জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, করোনা মহামারি মোকাবিলায় ভ্যাকসিন প্রধান অস্ত্র হিসেবে বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ৮০ শতাংশ জনসাধারণকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা গেলে স্বাভাবিক জীবন যাপন সম্ভব হবে। আমাদের মতো জনবহুল দেশে উপহার আর ভিক্ষার মাধ্যমে সংগ্রহ করা অপর্যাপ্ত টিকা দিয়ে করোনা মহামারি মোকাবিলা সম্ভব নয়।

বুধবার (২৩ জুন) বিকালে বনানী জাপা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে ‘সময়ের আয়নায় পল্লীবন্ধু’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, টিকা কূটনীতিতে বাংলাদেশ পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। বিভিন্ন দেশ থেকে উপহারের ৫ থেকে ১০ লাখ টিকা পেয়ে স্বস্তির ঢেকুর তুলছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। অথচ ১৮ কোটি মানুষের টিকা পাওয়ার বিষয়টি এখনো সম্পূর্ণ অনিশ্চিত। বিশ্বাসযোগ্য কোনো তথ্য উপাত্ত নেই সরকারের ঘোষণায়। টিকার বিষয়ে দেশের মানুষের মাঝে হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে।

জিএম কাদের বলেন, সারা বিশ্বের উন্নত ও অনুন্নত দেশগুলো ইতোমধ্যেই রোডম্যাপ অনুযায়ী গণটিকা কর্মসূচি শুরু করেছে। ওইসব দেশের মানুষ জানে কখন তাদের টিকাদান কর্মসূচি শেষ হবে। কিন্তু আমাদের দেশের কেউই জানে না কখন আমরা গণটিকা শুরু করতে পারবো। অথচ গত বছর বারবার সরকারকে টিকা ক্রয়ে বিকল্প উৎস রাখতে পরামর্শ দিয়েছিলাম আমরা।

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করতে উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে সরকারের কোনো পরিকল্পনা আছে বলে মনে হয় না। তাই আমরা চাই উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালে অক্সিজেন সহায়তা এবং আইসিইউ থাকতে হবে। সব পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা থাকতে হবে জেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালে। যেহেতু যথেষ্ট পরিমাণ করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না সেক্ষেত্রে করোনা ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। সে পরিস্থিতিতে আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে।

তিনি আরও বলেন, গণহারে মৃত্যু ঠেকাতে অনতিবিলম্বে চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নে উপরে বর্ণিত পন্থার বাস্তবায়নে মেগা প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। একইসঙ্গে দেশে করোনা ভ্যাকসিনের টিকা উদ্ভাবনের যে কোনো উদ্যোগকে সহযোগিতা করতে হবে।

জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও সময়ের আয়নায় পল্লীবন্ধু গ্রন্থের প্রকাশক আহসান আদেলুর রহমান সভাপতিত্বে প্রকাশনা উৎসবে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম প্রমুখ।

এএইচআর/এসকেডি