মানিকগঞ্জের বাউল আবুল সরকার পলাতক আওয়ামী লীগের দোসর বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা।

জামায়াতের নীতি-নির্ধারনী শূরা বৈঠক থেকে জানানো হয়, মানিকগঞ্জের আবুল সরকার নামক একজন বাউল আল্লাহ এবং রাসূল (সা.) সম্পর্কে গর্হিত অন্যায় ও অশ্লীল মন্তব্য করে এ দেশের মুসলিম জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছে। তাকে অবশ্যই উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। তার পক্ষ নিয়ে কিছু লোক দেশে পরিকল্পিতভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার বার্ষিক অধিবেশন শনিবার (২৯ নভেম্বর) সংগঠনের আমির ডা. শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে মগবাজারের আল-ফালাহ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সিনিয়র প্রচার সহকারী মুজিবুল আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। 

জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার অধিবেশনে উল্লেখ করা হয়, আমরা সম্প্রতি লক্ষ্য করছি যে, মানিকগঞ্জের আবুল সরকার নামক একজন বাউল আল্লাহ এবং রাসূল (সা.) সম্পর্কে গর্হিত অন্যায় ও অশ্লীল মন্তব্য করে এ দেশের মুসলিম জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে জনগণের আন্দোলনের মুখে সরকার তাকে গ্রেপ্তার করতে বাধ্য হয়েছে। 

বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, বাউল আবুল সরকার পলাতক আওয়ামী লীগের দোসর। তাকে অবশ্যই উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। তার পক্ষ নিয়ে কিছু লোক দেশে পরিকল্পিতভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের এ ধরনের অপতৎপরতা বন্ধ করার জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছে। জনগণের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।  

জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার এ অধিবেশন উদ্বেগের সাথে আরও লক্ষ্য করছে যে, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের নেতাদের বিচার চলাকালে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক তৎপরতা স্থগিত করা হলেও তারা তাদের শরিক দল জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের অপতৎপরতা থেমে নেই। তারা নানাভাবে গোপনে ও প্রকাশ্যে তাদের ফ্যাসিবাদী কর্মকাণ্ডের তৎপরতা অব্যাহত রেখে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটিয়ে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এমনকি জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতারা বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে টকশোতে অংশগ্রহণ করে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। আওয়ামী লীগ জাপাসহ ১৪ দলের সন্ত্রাসীরা একটি বড় দলের আশ্রয়-প্রশ্রয় থেকে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে। দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ এখনও সরকার সৃষ্টি করতে পারেনি। রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক হত্যা, খুন-খারাবি অব্যাহত আছে।

জেইউ/বিআরইউ