ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন

করোনাকালে যেখানে ৪০ ভাগ মানুষ দারিদ্র্যের প্রান্তসীমায় চলে গেছে, সেখানে বাংলাদেশে ১১.৪ শতাংশ হারে ধনী বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি করেছেন ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেন, এ অসমতা মুক্তিযুদ্ধের সামাজিক ন্যায়বিচার, মানবিক মর্যাদা ও সমতার ঘোষণাকে অসার প্রমাণিত করেছে।

শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) বিকালে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগর কমিটির সভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

মেনন বলেন, সরকার ক্রমবর্ধমান বৈষম্যের কথা স্বীকার না করলেও এ বাস্তবতা দেশকে এক বিপদজনক পর্যায়ে নিয়ে গেছে। এই করোনাকালেও খুন, রাহাজানি, ধর্ষণসহ নানা অপরাধের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এখনই রাশ টেনে ধরতে না পারলে দেশের সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা যাবে না। সমস্ত দেশ নৈরাজ্যের গহ্বরে পতিত হবে।

উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি অসমতা দূর করতে সরকারের অর্থনৈতিক নীতির পরিবর্তন করতে হবে মন্তব্য করে সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, নয়া উদারনীতিবাদী অর্থনৈতিক নীতি থেকে সাম্য বিধানের নীতিতে ফেরতে হবে।

করোনা সংক্রমণ কমলেও ভ্যাকসিন নিয়ে অনিশ্চয়তা দূর হয়নি দাবি করে মেনন বলেন, এ নিয়ে সরকারের একেক ব্যক্তি একেক কথা বলায় বিভ্রান্তি বাড়ছে। নিজ দেশে ভ্যাকসিন নিয়ে ট্রায়ালে বাধা সৃষ্টি করা, নিজ দেশের উদ্ভাবনকে সহায়তা না করা, মহল বিশেষের ব্যবসায়িক স্বার্থকে জনস্বার্থের ঊর্ধ্বে স্থান দেওয়া এর কারণ।

কেবল করোনা নয় জনগণের স্বাস্থ্যসেবার স্বার্থে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে দুর্নীতি, লুটপাট ও অব্যবস্থা থেকে বের করে ঢেলে সাজানোর আহ্বান জানান মেনন। তিনি আরও বলেন, ওয়ার্কার্স পার্টি স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে সামাজিক ন্যায্যতা-সমতা প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকারকে সামনে তুলে ধরবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক জন-গণতান্ত্রিক আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকারকে শানিত করে সংগ্রাম গড়ে তুলবে।

সভায় স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে ঢাকায় ২৭ মার্চ রাজধানীতে লাল পতাকা মিছিল করার সিদ্ধান্ত নেয় ওয়ার্কাস পার্টি। মিছিলটি শিখা চিরন্তনে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শুরু হয়ে মতিঝিল শাপলা চত্বরে গিয়ে শেষ হবে।

ঢাকা মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি আবুল হোসাইনের সভাপতিত্বে সভায় ঢাকা মহানগরের রিপোর্ট পেশ করেন সাধারণ সম্পাদক কমরেড কিশোর রায়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্কাস পার্টির মহানগর শাখার নেতা জাহাঙ্গীর আলম ফজলু, আনোয়ারুল ইসলাম টিপু প্রমুখ।

এএইচআর/এমএইচএস