ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেছেন, নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র চলছে। আমরা সরকারকে বলতে চাই, নির্বাচনের জন্য যথাযথ পরিবেশ তৈরি করতে হবে। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে।

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের লালদিঘী মাঠে ৫ দফা দাবিতে ৮ দলের সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

ফয়জুল করিম বলেন, ভেবেছিলাম এবার বৈষম্য দূর হবে, চাঁদাবাজমুক্ত দেশ গড়ব। কিন্তু ২৪ এর পরও চাঁদা আদায় বন্ধ হয়নি। দেশে নিরাপত্তা নেই। ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে পারছেন না। এমন দেশ আমরা চাইনি। আমরা ইসলামী হুকুমত কায়েম করতে চাই। এটি কায়েম হলে কোনো অন্যায়, বৈষম্য থাকবে না। কেউ খাবে, কেউ খাবে না তা হবে না। দেশের একটা টাকাও বিদেশে পাচার হবে না।

তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে মানুষ দুই ভাগে ভাগ হয়ে যাবে। কেউ দেশের পক্ষে থাকবে আর কেউ ভারতের পক্ষে। আজ থেকে দেশের পক্ষে ইসলামকে বিজয়ী করতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

এর আগে দুপুর পৌনে ২টার দিকে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়। এ উপলক্ষ্যে দুপুর ১২টা থেকে সমাবেশস্থলে লোকজন জড়ো হতে থাকে। লালদিঘী মাঠেই জুমার নামাজ আদায় করেন সমাবেশে উপস্থিত লোকজন।

৮ দলের ঘোষিত পাঁচ দফা দাবি হলো— জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন, জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি চালু, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সমান সুযোগের পরিবেশ নিশ্চিত করা, বিগত সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে অভিযুক্ত জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা।

এমআর/এসএসএইচ