আমরা অতিদ্রুত রক্তের ঋণ ভুলে যেতে শুরু করেছি : সাকি
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, আমাদের অভ্যুত্থান, এতো বড় আত্মত্যাগ, এতগুলো তাজা প্রাণ। কিন্তু, আমরা অতিদ্রুত এই রক্তের ঋণ অস্বীকার অথবা ভুলে যেতে শুরু করেছি।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য কল্যাণ অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. হাশেম চৌধুরী প্রমুখ।
সভায় উপস্থিত নেতাদের উদ্দেশ্যে সাকি বলেন, দাবি আদায় করার জন্য আপনাকে প্রয়োজনে আন্দোলন করতে হবে। আপনাদের দল যদি দাবি না মানে, দরকার হলে আপনাকে নিজ দলের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে। এভাবে যদি সামাজিক, রাজনৈতিক সংস্থাগুলো গড়ে না উঠে তাহলে গণতন্ত্র হবে না।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আগামী নির্বাচন যাতে অবাধ ও সুষ্ঠু হয়, সেজন্য ইউনিয়ন পরিষদের যে প্রতিনিধিরা আছে, তাদের ভূমিকা রাখতে হবে। মানুষ যাতে কোনো চাপ বোধ না করে এবং তারা যাতে নিজ পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের বৈষম্য দূর করতে হবে। সবাই যাতে সমান মর্যাদা নিয়ে কাজ করতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে।
আলোচনা সভায় সংগঠনের পক্ষ থেকে ৮টি দাবি জানানো হয়। সেগুলো হলো-
১. মাসিক সম্মানি ভাতা কমপক্ষে ৩০ হাজার টাকা করা।
২. সরকারি কর্মকর্তাদের ন্যায় বছরে ৩টি উৎসব বোনাস দেওয়া।
৩. পৌরসভা সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরদের ন্যায় স্ব-স্ব ওয়ার্ডে অফিস বরাদ্দ এবং গ্রাম পুলিশের ন্যায় বাইসাইকেলের পরিবর্তে মোটরসাইকেল বরাদ্দকরণ।
৪. ইউনিয়ন পরিষদ আইন সংশোধন করে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ অর্থাৎ ইউএনও চেয়ারম্যানের সঙ্গে মেম্বরদের বৈষম্য দূর করে কাজের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করণ। তাহলে সরকারের বরাদ্দকৃত ১০০% সেবা ও উন্নয়ন বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
৫. পরিষদে পুরুষ মহিলা মেম্বরদের মধ্যে বরাদ্দ বৈষম্য দূর করে সমবন্টন নিশ্চিত করা।
৬. বিনা ওয়ারেন্টে ডিসির পারমিশন ছাড়া পুলিশ কোনো ইউপি মেম্বরকে গ্রেপ্তার বা হয়রানি করতে পারবে না।
৭. নিরপরাধ মেম্বরদের মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া।
৮. ইউনিয়ন পরিষদে মেম্বরদের শান্তিপূর্ণ পরিবেশে কাজ করার সুযোগ দেয়া।
ওএফএ/এসএম