রাজধানীর তেজগাঁও কলেজের ছাত্রাবাসে এক শিক্ষার্থীকে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর শাখা।

শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) জুমার নামাজ শেষে আন্দরকিল্লা থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে চকবাজার প্যারেড কর্নারে সমাবেশে সমাপ্ত হয়।

সমাবেশে বক্তব্য দেন ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি তানজির হোসেন জুয়েল ও সেক্রেটারি মুমিনুল হক।

তানজির হোসেন জুয়েল অভিযোগ করেন, ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর শিক্ষাঙ্গণে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরে আসবে– এমন আশার পরও আবারও ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে রাজপথে নামতে হচ্ছে। ছাত্রদল এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আধিপত্য বিস্তারের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। চট্টগ্রামের টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট ও বাকলিয়া সরকারি কলেজে শিক্ষার্থীদের মোবাইল চেক করে শিবির শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে, যা অতীতের ফ্যাসিবাদী সময়ে ছাত্রলীগের কাজের পুনরাবৃত্তি। এ ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধ না হলে ছাত্রসমাজই তাদের প্রত্যাখ্যান করবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

বক্তব্যে মুমিনুল হক বলেন, ৫ আগস্টের পর ছাত্রদলই প্রথম খুনের রাজনীতি শুরু করেছে। জ্ঞান অর্জনের স্থান শিক্ষাঙ্গণে তারা লাশের রাজনীতি চালাচ্ছে। চাঁদাবাজির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে নিজেদের মধ্যেই সংঘর্ষ এবং হত্যাকাণ্ড ঘটানো হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

তিনি আরও বলেন, ছাত্রশিবির শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করছে– ছাত্রদলও যদি শিক্ষার্থীবান্ধব কর্মকাণ্ড করে তবে ছাত্রসমাজ তাদের গ্রহণ করবে। কিন্তু চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে ছাত্রসমাজকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক খুররম মুরাদ, অর্থ সম্পাদক গোলাম আজম, অফিস সম্পাদক আরফাত হোসেনসহ অন্যান্য নেতাকর্মী। সমাবেশে ‘নারায়ে তাকবির–আল্লাহু আকবর’, ‘যেই হাত মানুষ মারে সেই হাত ভেঙে দাও’, ‘আমার ভাই কবরে– খুনি কেন বাহিরে’, ‘চাঁদাবাজের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা।

এমআর/এসএসএইচ