হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তনকে ফ্যাসিস্ট শক্তির কুটিল ও পরিকল্পিত চক্রান্ত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

তিনি বলেছেন, রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নাম জনগণের স্মৃতি ও রাষ্ট্রীয় পরিচয় থেকে মুছে ফেলতে পরিকল্পিতভাবে এই নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, জিয়াউর রহমানের শাহাদাতের পর জাতীয় সংসদে সরকারি ও বিরোধী দল সর্বসম্মতভাবে ঢাকার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নামকরণ করে জিয়াউর রহমান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ওই নামের সংক্ষিপ্ত রূপ দেশের মানুষের পাসপোর্টের সিল, আগমন-বহির্গমন ঘোষণায় প্রতিনিয়ত উচ্চারিত হতো। এই বিষয়টি তৎকালীন সরকারপ্রধান সহ্য করতে পারেননি।

তিনি বলেন, প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে কোনো সম্মান বা শ্রদ্ধা থেকে নয়, বরং একটি দূরভিসন্ধিমূলক রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য। এটি ছিল ইতিহাস বিকৃতি এবং শহীদ জিয়ার নাম মুছে ফেলার নগ্ন প্রচেষ্টা।

আসন্ন রাজনীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপির ৩১ দফা হচ্ছে জনগণের জাতীয় মুক্তির সনদ। এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরছেন। ২৫ ডিসেম্বর তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পুনরুত্থানের নতুন অধ্যায় শুরু হবে।

ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশীদের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. আব্দুল মঈন খান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, সংগঠনের মহাসচিব ডা. মো. জহিরুল ইসলাম শাকিল প্রমুখ।

ওএফএ/এমজে