দেড় দশক পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। 

তিনি বলেছেন, তার আগমন দেশের রাজনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব রাখবে। কারণ দেশের রাজনীতিতে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছিল। বিশেষ করে বিএনপির মতো বৃহৎ একটি দল সরাসরি নেতৃত্ব বঞ্চিত ছিলো। তারেক রহমানের আগমনে সেই শূন্যতা পূরণ হবে বলে আশা করা যায়।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) পীর সাহেব চরমোনাই এক বিবৃতিতে বলেন, ১৭ বছর পরে তারেক রহমানের আগমনের মর্মে আরেকটি নির্মম সত্য আছে, সেটা হলো– সহিংস ও প্রতিহিংসার রাজনীতি। পতিত ফ্যাসিস্টের প্রতিহিংসার শিকার হয়ে তাকে নির্বাসনে থাকতে হয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানের পরে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে প্রতিহিংসা চিরতরে উৎখাত হোক, সেই প্রচেষ্টা তারেক রহমানসহ আমাদের সবার চালিয়ে যেতে হবে। আশা করি তারেক রহমান দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির সুস্থতায় অবদান রাখবেন।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, তারেক রহমান তার বক্তব্যে নিজস্ব প্ল্যান থাকার কথা বলেছেন। সেই প্ল্যানে ইতিবাচক সুষ্ঠু রাজনৈতিক সংস্কৃতি বিকাশ এবং ফ্যাসিবাদের চিরস্থায়ী বিলোপের বন্দোবস্ত থাকবে বলে আমরা আশা করি।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পরেও দীর্ঘদিন জনাব তারেক রহমান দেশের বাইরে থাকার পেছনে কিছু অস্পষ্ট কারণের আভাস দিয়েছেন। বাংলাদেশের একজন রাজনৈতিক নেতার দেশে আগমন অন্য কারো নিয়ন্ত্রণাধীন থাকবে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। এমন কোনো পরিস্থিতি আদতেও থেকে থাকলে সবাই মিলে তা প্রতিহত করতে হবে। সেই বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে বিষয়টি পরিষ্কার করা দরকার বলে মনে করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

জেইউ/বিআরইউ