‘অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়’
অস্ত্রধারী ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম-৮ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ডা. মো. আবু নাছের। তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণে আনা না গেলে সাংবাদিকদের মতো রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবেন।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম নগরের একটি রেস্টুরেন্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-৮ আসনে জামায়াতের নির্বাচন পরিচালক ও মহানগর জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী।
বিজ্ঞাপন
ডা. আবু নাছের বলেন, প্রশাসন যদি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে, তাহলে আমরা সেটাকে স্বাগত জানাই। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে চিরুনি অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। এ বিষয়ে কেউ সুপারিশ করতে এলে তাকেও ছাড় দেওয়া উচিত নয়। আমরা অন্যায়কারীদের কোনোভাবেই সহ্য করব না। আমরা একটি সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক নির্বাচন চাই। এজন্য আমাদের নেতাকর্মী, সাধারণ জনগণ ও ভোটারদের সম্পৃক্ত করেই নির্বাচন আয়োজনে ভূমিকা রাখব।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার বিষয়ে জোর দাবি জানানো হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় সক্রিয় সন্ত্রাসী ও মাস্তানদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের জন্য কমিশনকে তাগাদা দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বেকারত্ব প্রসঙ্গে জামায়াত প্রার্থী বলেন, মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে উপলব্ধি করেছি, বর্তমানে বেকারত্বই সবচেয়ে বড় সমস্যা। এটি আমাকে গভীরভাবে পীড়া দেয়। নির্বাচিত হলে বেকারত্ব সমস্যা সমাধান করাই হবে আমার প্রধান লক্ষ্য।
কালুরঘাট সেতু নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডা. আবু নাছের বলেন, চট্টগ্রাম নগরের সঙ্গে বোয়ালখালী ও পটিয়ার একাংশের যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম শতবর্ষী কালুরঘাট সেতু। একই সঙ্গে এটি বন্দরনগরীর সঙ্গে কক্সবাজারের রেল যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর অন্তঃকোন্দলের কারণে এ সেতুর নির্মাণকাজ দীর্ঘদিন ধরে বিলম্বিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, গত ১৪ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস থেকে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তরের স্মারক ফলক উন্মোচন করেন। সাত মাস পার হলেও এখনো নির্মাণকাজ শুরু হয়নি। কালুরঘাট সেতু এখন একটি ইমার্জেন্সি ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। এ নিয়ে শুধু কথা বললে রাজনীতিবিদরা মানুষের কাছে প্রতারক হিসেবে চিহ্নিত হবেন। দেশ চালাতে হলে রাজনীতিবিদদের কাজ করেই বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে হবে।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিষয়ে ডা. আবু নাছের বলেন, চট্টগ্রাম-৮ আসনে সব ধর্মের মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজমান রয়েছে। এই অঞ্চলের সনাতন ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক আছে। সবাইকে নিয়ে একটি সুন্দর ও ইতিবাচক উদাহরণ সৃষ্টি করতে চাই।
এমআর/এমএন