সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, লাখ-লাখ টিকার হিসাব দেখলে হবে না। এখানে কোটি কোটি টিকা একেক মাসে আসার হিসাব আমরা দেখতে চাই। তাহলেই বাংলাদেশকে করোনার এ ভয়াল গ্রাস থেকে মুক্ত ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো।

বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) দুপুরে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।  

সাবেক এই স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সেই লক্ষ্যে আমি আবার সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি, এ ব্যাপারে রাখ-ঢাক না করে অতি দ্রুত কোটি কোটি টিকা আমদানি করার ব্যবস্থা করেন। জনগণকে রক্ষার ব্যবস্থা করেন, এদেশের মানুষের জীবন-জীবিকাকে রক্ষা করেন। তা নাহলে আপনারা এদেশের ইতিহাসের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন। একদিন এদেশের জনগণ সঠিকভাবে আপনার (সরকারের) ব্যর্থতা ইতিহাসে লিখে রাখবে।

আজকে টিকা দেওয়াকে গুরুত্ব দিতে হবে বলে উল্লেখ করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, সারা পৃথিবীতে আজকে প্রমাণিত হয়েছে- যেসব দেশ ৭০/৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা দিতে পেরেছে তারাই কিন্তু করোনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে। এর কোনো বিকল্প নাই।

ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত হয়ে বিএনপির জাতীয় করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক ও স্থায়ী কমিটি সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুক বলেন, গত বছর দুই কোটি মানুষের কাছে আমরা সাহায্য পৌঁছে দিতে পেরেছিলাম। এবার এ দ্বিতীয় টেউ আমরা আগের মতোই ব্যবস্থা নিয়েছি। এবার প্রতিটি জেলায় আমাদের দলের অফিসে হেলথ সেন্টার করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে অক্সিজেন, প্রয়োজনীয় ওষুধ- স্বাস্থ্য সামগ্রী থাকবে। অলরেডি এই কাজ বেশ কয়েকটি জেলায় শুরু হয়ে গেছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিটি জেলার অফিসে এ হেলথ সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হবে।

তিনি আরও বলেন, দরিদ্র মানুষকে আর্থিক সাহায্য ও খাবার দেওয়া হচ্ছে। যেহেতু লকডাউন, কোথাও গেলে আমরা প্রশাসনের থেকে বাধাপ্রাপ্ত হই। সেজন্য আমরা যে যা পারি সীমিত সামর্থের মধ্যে মানুষজনকে সহযোগিতার ব্যবস্থা করেছি। বিরোধীদল হিসেবে এতো কষ্টের মধ্যেও আমরা করোনা রোগীদের পাশে আছি ও কাজ করে যাচ্ছি।

ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিহউল্লাহ বক্তব্য রাখেন।

এএইচআর/এসএম