পুরনো ছবি

বিধিনিষেধ শিথিলের পরে ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপে রাজধানী থেকে বের হওয়ার সড়কগুলোতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ছোট-বড় সব পরিবহন দাঁড়িয়ে আছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে ঘরমুখো মানুষকে। আর এজন্য দায়ী সরকারের ব্যর্থ পরিকল্পনা।

শনিবার (১৭ জুলাই) বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট শরিক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি আবদুল করিম আব্বাসী ও মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম এক যৌথ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেছেন।

দলটির শীর্ষ এই দুই নেতা বলেন, একদিকে ঘরমুখো মানুষবাহী যানবাহন, অন্যদিকে মহাসড়কের পাশে পশুবাহী ট্রাকের আধিক্য। সব মিলিয়ে সৃষ্টি হওয়া যানজটে অসহনীয় হয়ে উঠেছে মানুষ। এলোমেলো গাড়ি চলাচল, খালি জায়গা পেলেই লাইন ভেঙে ঢুকে যাওয়ার প্রবণতা ট্রাফিক ব্যবস্থায় বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হচ্ছে। আর এর খেসারত দিতে হচ্ছে অসহায় যাত্রীদের।

মহাসড়কে যানজটের জন্য চাঁদাবাজিকে দায়ী করে তারা আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, রাজনৈতিক দলের অঙ্গসংগঠন এবং পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের নামে চাঁদাবাজি চলছে প্রতিটি মহাসড়কের একাধিক স্থানে। আর এতে যেমন সড়কে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে, অন্যদিকে দুর্ঘটনাও ঘটছে।

তারা বলেন, সড়ক ও গণপরিবহন সংকটের কারণে ঈদুল আজহার পরের দিনই গ্রামের বাড়ি থেকে রাজধানীতে বা কর্মস্থলে পৌঁছানো সম্ভব হবে না। ফলে জনমানুষের স্রোতে সরকারের সকল পরিকল্পনা ব্যর্থ হবে। করোনাও ছড়িয়ে পড়বে। তাতে গত ১৪ দিনে কঠোর লকডাউনের অর্জিত ফলাফল শূন্যের কোটায় নেমে আসবে।

এএইচআর/এমএইচএস