সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী রফিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী নুরুন্নাহার লিলি

সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম সপরিবারে করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। এর আগে, তার পরিবারের ৭ জনের করোনা পজিটিভ হয়। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর অবস্থার অবনতি হলে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও তার স্ত্রী নুরুন্নাহার লিলি জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। 

সোমবার (১৯ জুলাই) অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের বড় ছেলে মোস্তাফা আশীষ ইসলাম দেবু ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মোস্তাফা আশীষ ইসলাম বলেন, ১ জুলাই প্রথমে আমার ছোট ভাই মোস্তাফা কৌশিক ইসলাম ও তার স্ত্রী খাদিজা খানম করোনায় আক্রান্ত হন। ৩ জুলাই আমার বাব-মায়ের রিপোর্টও করোনা পজিটিভ আসে। ওই সময় আমি ছাড়া পরিবারের বাকি সাত জনের করোনা পজিটিভ হয়। সবাই প্রথমে বাসায় চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে বাবা ও মায়ের অবস্থার অবনতি হলে জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। করোনা নেগেটিভ হওয়ায় বাবা-মাকে আজ বিকেলে হাসপাতাল থেকে ডাক্তারের পরামর্শে বাসায় নিয়ে এসেছি। এছাড়া বর্তমানে পরিবারের বাকি সদস্যরাও করোনামুক্ত।

পরিবারের যেসব সদস্যরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তারা হলেন- অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী নুরুন্নাহার লিলি, তার ছোট ছেলে মোস্তাফা কৌশিক ইসলাম, তার স্ত্রী খাদিজা খানম, তাদের মেয়ে জারিন সুভা, বড় ছেলে মোস্তাফা আশীষ ইসলামের স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা এবং তার ছেলে মোস্তাফা দ্রোহ। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম নিজের ও তার পরিবারের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, অধ্যাপক রফিকুল ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে যশোর-২ আসন থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালে তিনি জাতীয় সংসদের হুইপ নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে তাকে বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়। সফলতার সাথে দেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা পরিবর্তনে ভূমিকা রাখেন তিনি।

এসআর/এইচকে