করোনাভাইরাসের টিকা (ভ্যাকসিন) নেওয়ার পর বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছিল বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার। এমনকি জ্বরেও আক্রান্ত হয়েছিলেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। তবে গত কয়েকদিনের চিকিৎসায় বর্তমানে মোটামুটি সুস্থ আছেন তিনি। ছেড়ে গেছে জ্বরও।

খালেদা জিয়ার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ জুলাই করোনার টিকা নেওয়ার পর শরীরে ব্যথা অনুভব করেন খালেদা জিয়া। ওই দিন রাতে শরীরে জ্বরও আসে। ঈদের দিনও তার শরীরে জ্বর ছিল। তবে বর্তমানে তার শরীরে ব্যথা ও জ্বর নেই। তিনি মোটামুটি সুস্থ আছেন। তরল জাতীয় খাবারও খেতে পারছেন।

খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভ্যাকসিন নেওয়া পর তার (খালেদা জিয়া) শরীর ব্যথা ও জ্বর এসেছিল। এখন তার জ্বর ছেড়ে গেছে। মোটামুটি ভালো আছেন বলে শুনেছি। যেহেতু তার বাড়িতে আমাদের যাওয়ায় নিষেধ আছে, তাই সব সময় খোঁজও নিতে পারি না।

তিনি আরও বলেন, ভ্যাকসিন নেওয়া কারণে যে ব্যথা ও জ্বর এসেছিল, সেটা এখন নেই। কিন্তু তিনি তো ডায়াবেটিসসহ নানা রোগে আক্রান্ত। সে কারণে আমরা তাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য নিতে চেয়েছিলাম। সরকারের কাছে আবেদনও করা হয়েছিল। কিন্তু তারা অনুমতি দেয়নি।

বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) রাতে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি ম্যাডামকে দেখে এসেছি। উনার জ্বর কমেছে।

ঈদের দিন (২১ জুলাই) খালেদা জিয়ার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে এসে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ম্যাডাম করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর ভালো আছেন। কিন্তু করোনার ভ্যাকসিন নেওয়া কারণে জ্বর এসেছে। চিকিৎসকদের পরামর্শে বরাবর আমরা যেই বিষয়টি বলে আসছি তা হলো, খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয় খালেদা জিয়ার। এরপর প্রথমে পুরান ঢাকার বিশেষ কারাগার ও পরে কারাবন্দি অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। এরপর দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার নির্বাহী আদেশে তার ছয় মাসের সাজা স্থগিত করে মুক্তি দেয়। এরপর আরও দুই বার তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ায় সরকার।

এএইচআর/এসএসএইচ