ফাইল ছবি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ দেশের অন্যতম সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষের মতো দায়িত্বশীল পদে ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসী-ক্যাডার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রকাশিত ফোনালাপেই বোঝা যায়- কী তার পরিচয়! কী তার চরিত্র! এরা শিক্ষক নামের কলঙ্ক। 

মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) রাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ফখরুলের এসব বক্তব্য তুলে ধরা হয়। 

মির্জা ফখরুল বলেন, এই দলবাজ, সন্ত্রাসী মহিলা কথায় কথায় ক্ষমতার দাপটে অস্ত্র ও লীগ নামধারী সন্ত্রাসী বাহিনীর হুমকি দেয়। প্রকাশের অনুপযোগী অশ্রাব্য-অশালীন ভাষা ব্যবহার করেন, তার হাতে শিক্ষা, শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্রী, অভিভাবকসহ কেউই নিরাপদ নয়। 

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার এবং অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর একটি ফোনালাপ ছড়িয়ে পড়ে। ফোনালাপের এক পর্যায়ে অধ্যক্ষ কামরুন নাহার মুকুলকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি বালিশের নিচে পিস্তল রাখি। কেউ (কোনো... বাচ্চা) যদি আমার পেছনে লাগে আমি কিন্তু ওর পেছনে লাগব। আমি শুধু ভিকারুননিসা না, আমি তাকে দেশ ছাড়া করব।’

এই ফোনালাপের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দুর্ভাগ্য বর্তমান সরকারের আমলে শুরু থেকেই ক্রমাগত দলীয়করণ, ভর্তি বাণিজ্য, অনিয়ম, দুর্নীতি ইত্যাদির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের মান-মর্যাদা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ভোটারবিহীন সরকারের চরিত্র, ভাষা, ব্যবহার যে ধরনের, তাদের পছন্দের ব্যক্তিরাও একই হবে, এটাই স্বাভাবিক।  

অবিলম্বে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষকে অপসারণ করে ন্যায়-নিষ্ঠ, ভদ্র, আদর্শবান ও নির্দলীয় শিক্ষককে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার আহবান জানান মির্জা ফখরুল। 
 

এএইচআর/এনএফ