ব্যক্তিতন্ত্র নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক: গয়েশ্বর
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বিজয়ের এ মাসে আমাদের চাওয়া ব্যক্তিতন্ত্র নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক। আজকে শতভাগ ব্যক্তিতন্ত্রের ওপর দেশ চলছে। এখান থেকে আমাদের মুক্তি পেতে কাজ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর কালশী বাউনিয়া বেড়িবাঁধ সংলগ্ন বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পবিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের সময় এসব কথা বলেন তিনি। এসময় ক্ষতিগ্রস্ত ৭৫ পারিবারের সদস্যদের হাতে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, পাতিল, কড়াই, প্লেটসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তুলে দেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
গয়েশ্বর বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্র না থাকলে সেখানে আইনের শাসন থাকে না। এ অবস্থায় দেশের কোনো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারে না। রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো যদি নিজস্ব চিন্তা-ধারা ও ন্যায় নীতি প্রতিষ্ঠা করতে না পারে তাহলে জনগণ সুফল পায় না।
বস্তিবাসীদের স্থায়ী পুনর্বাসনের দাবি জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, বিএনপি জনগণের দল, সামর্র্থ্য অনুযায়ী দলের নেতাকর্মীরা জনগণের পাশে দাঁড়ায়। একটা কথা শীত এলেই এ এলাকার বস্তিতে আগুন লাগে কেন? সরকারের কাছে আমার আহ্বান অত্যন্ত নিরপেক্ষভাবে গুরুত্ব দিয়ে গভীর পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তদন্ত করে এর রহস্য আবিষ্কার করুন।
বিজ্ঞাপন
স্বাধীন দেশের কেন মানুষ কেন বস্তিতে থাকবে প্রশ্ন রেখে গয়েশ্বর বলেন, অবিলম্বে এ বস্তিবাসীদের স্থায়ী পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করুন। তাদের স্থায়ী ঠিকানা দেন। বস্তিতে যে লোকগুলো থাকেন- এ জমি সরকারি। তাহলে প্রতিমাসে কারা বিনা পুঁজিতে মাসোহারা নেয়? এর সঙ্গে কার জড়িত? সরকার ইচ্ছে করলেই এদের খুঁজে বের করতে পারে কিন্তু সেই পারার কাজটা সরকার করে না।
ত্রাণ বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সহসভাপতি কে এম মোয়াজ্জেম হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রমুখ।
এএইচআর/এসএম