স্বৈরাচারী সরকার ছাত্র আন্দোলনের ভয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে বলে মনে করে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।

সংগঠনটি বলছে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ভোটবিহীন অগণতান্ত্রিক সরকারের সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গতকাল এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলে অরাজকতা তৈরি হবে। এই অরাজকতা দমনে ছাত্রলীগকে ‘ওয়েল ইকুইপড’ থাকতে হবে। ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়ে গেছে স্বৈরাচারী সরকার করোনার প্রকোপে নয় বরং ছাত্র আন্দোলনের ভয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ করে রেখেছে।

রোববার (২৯ আগস্ট) সংবাদ মাধ্যমে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মো. ফয়েজউল্লাহ এবং সাধারণ সম্পাদক দীপক শীলের পাঠানো বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, করোনাকালীন সরকারের লাগামহীন দুর্নীতি, স্বাস্থ্য খাতের অব্যবস্থাপনা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে বাকস্বাধীনতা দমন প্রভৃতি কারণে দেশের সাধারণ মানুষ এ ভোটবিহীন অগণতান্ত্রিক সরকারের উপর ক্ষুব্ধ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখলে সরকারের দুর্নীতি ও দমন পীড়নের বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলন শুরু হবে। ছাত্ররা যেন আন্দোলন করতে না পারে, সরকারের বিরুদ্ধে যেন কোনো আন্দোলন গড়ে না ওঠে সে জন্য দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু এই স্বৈরাচারী সরকার হয়ত ভুলে গেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে ছাত্রদের এবং ছাত্র আন্দোলন বেশি দিন দমিয়ে রাখা সম্ভব নয়। তাই ক্যাম্পাসগুলোয় তাদের লাঠিয়াল বাহিনীকে তারা প্রস্তুত করছে।

বিবৃতিতে ছাত্র ইউনিয়নের এ দুই নেতা বলেন, আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে কখনো ছাত্র আন্দোলন দমন সম্ভব নয়। স্বৈরাচার আইয়ুব, এরশাদ কেউ তা পারেনি। বর্তমান স্বৈরাচার সরকারও তা পারবে না। অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ এবং গণতান্ত্রিক সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় পূর্বতন স্বৈরাচারদের মতো পরিণতি বরণ করতে হবে।

এমএইচএন/এসকেডি