উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) সব ধরনের কাজে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের অনুমোদন নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। এ আদেশ স্বশাসিত উপজেলা বাস্তবায়নের প্রাথমিক পদক্ষেপ বলে দাবি করেছে অদলীয় রাজনৈতিক সামাজিক মঞ্চ নামের একটি সংগঠন। 

বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সংগঠনটির পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়। 

বিবৃতিতে বলা হয়, স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে, উপজেলায় শিল্পাঞ্চল গড়ে তুলতে, সামগ্রিক উন্নয়নে সরকারি অর্থ বরাদ্দ, বিদেশি বিনিয়োগ ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিনিয়োগের বিকল্প নেই। কাঠামোগত পরিবর্তনের মাধ্যমে কৃষক, ক্ষেতমজুর, নারী ও বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে শক্তিশালী স্বশাসিত উপজেলা পরিষদ গড়ে তোলা সম্ভব।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের পর্যাপ্ত ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব না থাকা এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের নির্বাচিত প্রতিনিধিত্ব না থাকার ফলে স্থানীয়ভাবে কর ধার্য করা ও প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। একই সঙ্গে রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষ (অথরিটি) শক্তিশালী না হওয়ায় প্রত্যেক উপজেলায় শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলার সম্ভাবনাও ম্লান হয়ে পড়ছে। 

বিবৃতিতে আইন সংশোধনের মাধ্যমে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রতিনিধিত্বমূলক স্বশাসিত উপজেলা পরিষদ গঠন ও বাস্তবায়নের দাবিতে দেশের অদলীয় রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়। 

বিবৃতিদাতারা হলেন- অদলীয় রাজনৈতিক সামাজিক মঞ্চের প্রধান সমন্বয়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবির হিরু, শিকদার মো. নিজাম, মো. মোশারফ হোসেন, এম এ আউয়াল, মোশারফ হোসেন মন্টু, সাকিল সৈকত, রায়হান তানভীর, ব্যারিস্টার গোলাম আইয়ুব অভ্র ও অয়ন আমান।

এইউএ/ওএফ